সাইন্যাপস্ সংবাদ।। মার্চ-এপ্রিল ২০২১
সংবাদ শিরোনাম ১
অবগুণ্ঠন সাহিত্য সম্মান-২০১৮ ও ২০১৯ প্রদান
সংবাদ শিরোনাম ২
চুঁচুড়া সংশপ্তক আয়োজিত মুক্ত নাট্য মেলা
সংবাদ শিরোনাম ৩
সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষের জন্মদিনে আমরা ভোটের ফলাফল শুনতে চাই না।
মানবজমিন ও অহর্নিশ গ্রন্থাগারের সদস্যবৃন্দদেরর মিছিল
মানবজমিন ও অহর্নিশ গ্রন্থাগারের সদস্যবৃন্দদেরর মিছিল
সংবাদ বিশদে
⥥
সংবাদ ১ ।।
অবগুণ্ঠন সাহিত্য সম্মান-২০১৮ ও ২০১৯ প্রদান
গত ৩১শে জানুয়ারি রবিবার, হাবড়া বাণীপুর বেসিক-এর সভাগৃহে বিকেল তিনটে নাগাদ অনুষ্ঠিত হল 'অবগুণ্ঠন সাহিত্য সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান। ২০১৮ -এর অবগুণ্ঠন সাহিত্য সম্মান পেল সুজয় চক্রবর্তী সম্মাদিত "পারক" পত্রিকা। পত্রিকাটি দীর্ঘদিন অণুগল্প ও ছোটগল্পের চর্চা করছে নিষ্ঠার সঙ্গে। এখন তো পারক ওয়েব ম্যাগাজিন। তাঁর হাতে মানপত্র তুলে দেন গল্পকার সুব্রত ভৌমিক। আরেকটি পত্রিকা চন্দ্রাণী বসু সম্মাদিত "শ্রমণ"। যদিও তাঁরা আসতে পারেননি সেইদিন।
![]() |
পারক পত্রিকার সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তীর হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন অবগুন্ঠন পত্রিকার কর্ণধার অমিতাভ দাস |
অবগুণ্ঠন সাহিত্য সম্মান-২০১৯ প্রদান করা হয় গল্পকার দীপক কর সম্পাদিত "নান্দনিক" পত্রিকাকে। নান্দনিক দীর্ঘদিনের পত্রিকা। লিটিল ম্যাগাজিনের জগতে গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। খুব যত্ন নিয়ে কাজ করেন সম্পাদক। তাঁর হাতে মানপত্র তুলে দেন কবি ও গল্পকার সুবীর মজুমদার। দুই সম্মাদকের হাতে সম্মান স্মারক তুলে দেন অবগুণ্ঠন সম্মাদক অমিতাভ দাস। করোনা অতিমারীর কারণে ২০২০ সালে কাউকে সম্মাননা জানান হল না বলে জানিয়েছেন সম্পাদক। পূর্বে এই সম্মান পেয়েছে মাটির কাছাকাছি, অহর্নিশ, দৌড়, কণিকা, ধ্রুবতারা ও সাইন্যাপস্ পত্রিকা।
শেষ পর্বে ছিল কবিতা ও অণুগল্পপাঠ। অংশ নিয়েছিলেন দীপ্তেশ চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিশ্বাস, সত্যবান বিশ্বাস, সুবীর মজুমদার, সজ্জ্বল দত্ত, রাজদীপ ভট্টাচার্য ,সঞ্জয় ঋষি প্রমুখ।
এই করোনা কাল পেরিয়ে সাংঘাতিক শীত উপেক্ষা করেও দর্শক ও শ্রোতার আগমন লক্ষ্যনীয়। যদিও করোনা বিধির কারণে প্রবেশ ছিল আমন্ত্রিত ও সীমিত সংখ্যার। সম্পাদক জানালেন, পত্রিকার দশম বর্ষ থেকে এই সম্মান জানান হচ্ছে কোনো না কোনো লিটিল ম্যাগাজিনকে তাদের কাজের ওপর ভিত্তি করে। কারণ একটি লিটিল ম্যাগাজিন পারে অন্য একটি লিটিল ম্যাগাজিনকে সম্মানিত করতে।
সংবাদ ২ ।।
চুঁচুড়া সংশপ্তক আয়োজিত মুক্ত নাট্য মেলা
![]() |
ছবিঃ সংশপ্তক |
চার্লি চ্যাপলিনের জন্মদিবস কে স্মরণে রেখে গত ১৬ এবং ১৭ ই এপ্রিল(শুক্র-শনিবার) চুঁচুড়ার জোড়াঘাট বন্দেমাতরম ভবনের পাশে আয়োজিত হল মুক্ত নাট্য মেলা ২০২১। মুক্ত নাট্য মেলার আয়োজন করে চুঁচুড়ার সংশপ্তক।
জন্মদিবসে চার্লির জীবন সংক্রান্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই বিষয়ে অসাধারণ বক্তব্য রাখেন শ্রদ্ধেয় রেবন্ত ঘোষ। এর পর দু'দিনে মোট পাচঁটি নাটক অভিনীত হয়। সংশপ্তক চিনসুরা ছাড়াও বিসর্গ থিয়েটার, নাটুকে বেদুইন, ব্যান্ডেল নান্দনিক এবং সৌমি ও সব্যসাচী তাদের নাটক নিয়ে হাজির হয়েছিল বিভিন্ন জেলা থেকে।
![]() |
ছবিঃ সংশপ্তক |
নাটকের পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন কলাকুশলীদের নাচ,গান,আবৃত্তি। মুক্ত নাট্য মেলার প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলা হয়েছিল চার্লির ছবি সহ তাঁর জীবনের বিখ্যাত কিছু উক্তি দিয়ে। রংবেরঙের কাগজের নানা কাজ দিয়ে সজ্জিত পরিবেশ ছিল মানানসই।
হুগলি চুঁচুড়ায় এর আগে মুক্ত অঙ্গনে নানা অনুষ্ঠানে নাটক মঞ্চস্থ হলেও মুক্ত নাট্য মেলা কখনও অনুষ্ঠিত হয় নি। তাই এই মেলায় উপস্থিত দর্শকদের অনেকেই এই উৎসব যাতে বারেবারে অনুষ্ঠিত করা যায় সেই অনুরোধ রাখেন। এভাবেই সংশপ্তক চিনসুরা তাদের মতো করে স্মরণীয় করে রাখলো এই বিশেষ দিনটিকে।
সংবাদ ৩ ।।
সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষের জন্মদিনে আমরা
ভোটের ফলাফল শুনতে চাই না।
মানবজমিন ও অহর্নিশ গ্রন্থাগারের সদস্যবৃন্দদের মিছিল
মানবজমিন ও অহর্নিশ গ্রন্থাগারের সদস্যবৃন্দদের মিছিল
প্রতিবাদের আওয়াজ প্রথম তুলেছিল অহর্নিশ পত্রিকা, পরে তার রেশ টেনে অহর্নিশ গ্রন্থাগার এবং অশোকনগর মানবজমিন এই বিষয়ে সভা এবং মিছিলের আয়োজন করে। উপলক্ষ '২ মে সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষের জন্মদিনে আমরা ভোটের ফলাফল শুনতে চাই না।'
দাবিটা অনেকের কাছেই যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়েছিল। কারণ পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানেই রক্তপাত, মৃত্যু। আর সেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা যেদিন হবে সেদিন স্বাভাবিক ভাবেই অশান্তির আবহওয়া তৈরি হয়ে যাবে। গত বছর করোনা-কারাটীঁনের জন্য আমরা সত্যজিৎ-শতবর্ষ উদযাপন করতে পারিনি আর এবছর ভোটবাবুদের দৌরাত্ম্যে শান্তিতে স্মরণ আয়োজন করতে পারব না- এই ছিল প্রতিবাদী মুখগুলির যুক্তি। ফলে তারা উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে প্রথমে একটি সভা করে। এরপর নির্বাচন কমিশনের কলকাতা দপ্তরে চিঠি লেখেন দিন পরিবর্তনের আবেদন করে। তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় মানবজমিন ও অহর্নিশ গ্রন্থাগারের সদস্যবৃন্দ, যার অধিকাংশই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, তারা একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অশোকনগর পরিক্রমায় তাঁরা কিছু সংস্থার দপ্তরে গিয়ে এই প্রতিবাদে সামিল হবার আবেদন জানান। গত ১৯ মার্চ হয়েছিল এই প্রতিবাদ সভা ও মিছিল।
0 মন্তব্যসমূহ