লিটল ম্যাগাজিনের খবরাখবর

আলোসাগরের ঢেউগুলি (১)

রাজীব কুমার ঘোষ


আলোচিত পত্রিকা

গল্পদেশ / দ্বিতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা / সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ২০২০/ কলকাতা থেকে প্রকাশিত

সম্পাদকঃ গৌতম অধিকারী

যুগ্ম সম্পাদকঃ রাজেশ ধর, ফয়সাল আহমেদ

সহযোগী সম্পাদকঃ নাফিস আনোয়ার, দীপ্যমান চ্যাটার্জি

 

গল্পদেশ দ্বিতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা।। প্রচ্ছদ

‘সুসম্পাদিত’ শব্দটি তার প্রকৃত অর্থ নিয়ে ঋজু দাঁড়িয়ে থাকার এখনো অবলম্বন পায় গল্পদেশের মতো কিছু লিটল ম্যাগাজিনের জন্য। ২০১৮ সালের অক্টোবরে যাত্রা শুরু করে মাত্র তিনটি সংখ্যা প্রকাশ পেতে না পেতেই ‘গল্পদেশ’ বাংলা ছোটোগল্প চর্চায় এক উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে উঠেছে।

গল্পদেশের ঘোষিত শিরোনাম ‘ছোটোগল্পের পূর্ণাঙ্গ পত্রিকা’। তিনশো পৃষ্ঠার অধিক কলেবরের এই গল্পপত্রটির সূচিতে চোখ রাখলে ঘোষণাটি অতিরঞ্জিত বলে মনে হয় না। সাম্প্রতিক ছোটোগল্প তো বটেই তাছাড়া নানা প্রবন্ধে, অগ্রন্থিত গল্পের উপস্থিতিতে ছোটোগল্প চর্চাকারীদের কাছে পত্রিকাটি অবশ্য সংগ্রহযোগ্য হয়ে উঠেছে। আগের সংখ্যাগুলির মতোই বর্তমান সংখ্যায় রয়েছে ‘আদিপর্বের গল্প’, ‘গল্প লেখার গল্প’, ‘গল্পকারের গল্পভাবনা’, ‘গল্পকারের গল্পকার’, ‘ফিরে পড়া’ বিভাগসমূহ এবং এবারে দুটি বিশেষ সংযোজন — ‘দেশহারাদের গল্প’ আর ‘বাংলার বাতায়ন’।

এই সংখ্যায় আদিপর্বের গল্পে রয়েছে ১৩০৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত নগেন্দ্রনাথ গুপ্তের গল্প ‘ছোট বৌ’ যেটি নগেন্দ্রনাথের গল্প সংগ্রহে অনুপস্থিত। রয়েছে নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সম্পর্কে নির্মাল্যকুমার ঘোষের লেখা একটি প্রয়োজনীয় প্রবন্ধ। প্রবন্ধের শুরুতে নগেন্দ্রনাথ গুপ্তের পরিচয় পাওয়া যায় ‘সে আমলের গৌন সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম’ এই হিসাবে কিন্তু প্রবন্ধের সঙ্গে চলতে চলতে উপলব্ধি হয় কেন এই লেখককে পুনরাবিষ্কারের প্রচেষ্টা। আমরা পাই সমালোচকদের মন্তব্য, “নারী মনস্তত্ত্বের সুনিপুণ রূপকার হিসেবে নগেন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্রের পূর্বসূরী” অথবা বাংলা ছোটোগল্পে রহস্য-রোমাঞ্চ-অলৌকিকতা ব্যবহারে তার পারদর্শিতা।

‘অগ্রন্থিত গল্প’ বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌-এর ‘এক আর নয়’ গল্পটি। গল্পটি ‘চতুরঙ্গ’ বৈশাখ সংখ্যায় ১৩৫৯ সালে প্রকাশিত। সম্পাদক সখেদে লিখেছেন, “অবিভক্ত বঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ এই কথাসাহিত্যিককে বাংলা সাহিত্যের লেখন না-ভেবে বাংলাদেশের লেখক হিসেবে চিহ্নিত করবার এক অদ্ভুত প্রয়াস লক্ষ করা যায়। অথচ এই লেখক অবিভক্ত বঙ্গে ‘পূর্বাশা’, ‘অরণি’, ‘স্বাধীনতা’ সহ গুরুত্বপূর্ণ পত্রপত্রিকাতে তাঁর প্রাথমিক লেখালেখির কাজটি শুরু করেছিলেন। এমনকী তাঁর প্রথম উপন্যাস লালসালু প্রকাশিত হয়েছিল শহর কলকাতা থেকেই।”

সম্পাদক জানাচ্ছেন, ৭ এপ্রিল ১৯৪৫ সাল থেকে ২৫ নভেম্বর ১৯৪৫ সাল অবধি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হত ‘গল্প লেখার গল্প’ নামে একটি সাপ্তাহিক কথিকা। সমসময়ের ষোলোজন গল্পকারের এই বিষয়ে বক্তব্য জ্যোতিপ্রসাদ বসুর সম্পাদনায় ‘গল্প লেখার গল্প’ নামে গ্রন্থিত হয়ে প্রকাশিত হয় ১৩৫৩ সালে। এই সংখ্যায় রয়েছে ১৮ নভেম্বর ১৯৪৫ সালে সম্প্রচারিত শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের কথিকাটি। তাতে আমরা পাই ‘কয়লাকুঠি’ গল্পের জন্ম ইতিহাস, যে গল্পের প্রথম শ্রোতা নজরুল ইসলাম।

গল্পকারের গল্পভাবনায় উপস্থিত অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, “লেখবার আগে জেনে নিতে হবে কী লিখতে হবে না।” যারা গল্প লেখা শুরু করেছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় এই বিভাগটি।

‘গল্পকারের গল্পকার’ বিভাগে রয়েছে সুকান্তি দত্তের গল্পপাঠের খতিয়ান তার নিজের রচনায়। তিনি লিখছেন, “ক্রমশ বুঝলাম, অন্য শিল্পমাধ্যমের মতোই ছোটোগল্পের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা দুরূহ, একটি সংজ্ঞা তৈরি হতে-না-হতেই দেশ-কাল-দর্শন-দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে সার্থক স্রষ্টার হাতে সেই সংজ্ঞা ভেঙে যাচ্ছে। কোনো একটি মাত্র মডেল থাকছে না, এইরকম হলে ছোটোগল্প হল, নচেৎ নয়, এ আর বলা চলে না।”

‘সংকলনের গল্প’ বিভাগে রয়েছে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত কল্পবিজ্ঞানের গল্প সংকলন ‘তৃতীয় নয়ন’ গ্রন্থে সিদ্ধার্থ ঘোষ লিখিত ভূমিকাটি। যেখানে আমরা বাংলা ভাষার প্রথম বিজ্ঞান-ভিত্তিক গল্পকার হিসাবে জগদীশচন্দ্র নয় হেমলাল দত্তের নাম পাচ্ছি।

‘ফিরে পড়া গল্প’ বিভাগে রয়েছে চারটি গল্প সংকলন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা — জয়ন্ত জোয়ারদারের ‘একজন সিআরপি এবং একটি নকশাল ভূত’, নাহিদা আশরাফীর গল্প সংকলন ‘জাদুর ট্রাঙ্ক ও বিবর্ণ বিষাদেরা’, জয়দেব দত্তর গল্প সংকলন ‘যমকুলি’, ফয়সাল আহমেদের ‘চিরকুট’। এই সংকলনগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন যথাক্রমে দেবাশিস সরকার, সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, রাজেশ ধর এবং ইলিয়াস বাবর।

        বিশেষ সংযোজন দেশহারাদের গল্প। রয়েছে পাঁচটি গল্প — সুলেখা সান্যালের বাস্তুভিটা, কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের ‘মধুমতী অনেক দূর’, নকুল মল্লিকের ‘অনুপ্রবেশকারী’, কল্যাণ মন্ডলের ‘পুশ ব্যাক’ এবং দেবাশিস সরকারের ‘নির্মাণের যন্ত্রণা অথবা যন্ত্রণার নির্মাণ’। পাঁচটি গল্প, পাঁচটি তীব্র সার্চলাইট যা উদ্ভাসিত করে তুলেছে সেই যন্ত্রণার ঘর যার অন্দরে আমরা আজো বোধহয় যেতে সাহস পাইনি।

        ক্যালকাটা কেমিক্যালের সত্তর আর যুগান্তরের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের উপলক্ষে ১৯৮৬ সালে ছোটোগল্পের একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন হয়েছিল যা ছিল অভিনব। অভিনব কারন প্রতিযোগিতায় জেলার আঞ্চলিক পটভূমি থেকে উঠে আসা গল্প আহ্বান করা হয়েছিল। প্রতি মাসে দুটি সেরা গল্প বেছে নেওয়া হতো এবং প্রতি ইংরাজি মাসের পয়লা তারিখে এই দুই গল্প নিয়ে প্রকাশিত হতো ‘বাংলার বাতায়ন’। গল্পদেশের বর্তমান সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভাবে সেগুলি প্রকাশিত করা হবে। এই সংখ্যায় নদীয়ার পটভূমিতে দুটি গল্প রয়েছে — কামাল হোসেন ও কিশোরী শাস্ত্রীর গল্প।

        বর্তমান সংখ্যায় কল্যাণ মন্ডল বাংলা ছোটোগল্পে দেশভাগ নিয়ে লেখা একটি প্রবন্ধ পুনর্মুদ্রিত হয়েছে। বিপ্লব বিশ্বাস সুবোধ ঘোষের গল্প নিয়ে লিখেছেন একটি প্রবন্ধ, ‘বাঁকবদলের গল্পপথে ভারত-পথিক সুবোধ ঘোষ’।

        সব শেষে আসা যাক গল্পদেশের নির্বাচিত এই সময়ের ষোলোটি ছোটোগল্পে, লিখেছেন — জিয়া হাশান, বিমল গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুমুর পান্ডে, বেবী সাউ, মোস্তফা অভি, শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য, অভিজিৎ চৌধুরী, নাফিস আনোয়ার, ইন্দ্রনীল সুমন, ইমনকল্যাণ দাস, শমীক ষান্নিগ্রাহী, হিরন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়, অমিত মুখোপাধ্যায়, রোমেল রহমান, কৌশিক রঞ্জন খাঁ এবং রাজেশ ধর। এই ষোলোটি গল্প গল্পদেশের অহংকার বিশেষ। প্রতিটি গল্পই সুলিখিত এবং সাধারণ গোত্রের নয়। লিটল ম্যাগাজিনের ধর্ম যদি হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়া তাহলে সেই ধর্মপরীক্ষায় গল্পদেশ উত্তীর্ণ।

        সবকটি গল্পই উল্লেখযোগ্য। বর্তমান আলোচককে আলাদা করে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে বেশ কিছু গল্প।

ঝুমুর পান্ডের ‘পিয়াঙ্কা বাগদি কাঁহা গেল’ গল্পে আমরা পাই অসম্ভব নিঁখুত বুনোন, স্বল্প কথায় ফুটিয়ে তোলায় কুশলী এক কলম। একটি বজ্রাঘাতের মতোই গল্পটি পলকে এসে পড়ে পাঠকের ওপর।

        বিমল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়ে চলে আমাদের লালন করা শ্রেণীসত্তা। যে গল্পে মানুষ, মানুষের মধ্যে থেকে মানুষকে খুঁজে পেতে শুরু করে। এই গল্প এক তিরতির করে বয়ে চলা নদী যার পাশে পাঠকের দু’দন্ড বসে থাকতে ইচ্ছে করে।

        জিয়া হাসানের প্রাণ প্রোডাক্টের ভাষা জোরালো। উপস্থাপনায় আর বুনোনে গল্পটি পাঠককে জয় করে নেয়। একখোলা অটিস্টিক ইঁটের জগতে পাঠক নিজেকে হারিয়ে ফেলে।

         মোস্তফা অভির ‘মাঘনিশিথের কোকিল’ গল্পটি মনে পড়ায় শাহযাদ ফিরদাউসের ‘শাইলকের বাণিজ্য বিস্তার’ উপন্যাসটি। অসাধারণ নামকরণ করেছেন গল্পকার। বুরকুনদাস নাম অবলম্বন করে বিঘাই গ্রামে আবির্ভূত কালাচান যেন পদ্মাসেতুর কাম আর মাসে পঁচিশ হাজারের স্বপ্ন ফেরি করা এক নয়া মসীহা।

        শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের ‘মাছ ধরার নিয়মাবলি’ গল্পে মোল্লাহাটির ঝিল পিছোতে পিছোতে সমুদ্রে চলে যায়। কলকাতা যত এগিয়ে এসে নেকড়ের থাবায় টুঁটি চিপে ধরে তত জলাভূমি সরে যায়। কলকাতা যতটা এগিয়েছে ততটা পিছোলেই ধরা যাবে মোল্লাহাটির ঝিলকে, যে ঝিলের মহামৎসের লোভে এক অলৌকিক জালে ধরা পড়ে বিলাস আর তুলসী। একসময় আক্রোশে এগিয়ে আসতে থাকে মোল্লাহাটির ঝিল। লেখন শৈলীতে অনিবার্যভাবে মনে পড়ে যায় শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমকে।

        নাফিস আনোয়ারের ‘ট্রায়াল’ গল্পে লাশ পাওয়া যায় না বলেই মানুষ নিখোঁজ স্ট্যাটাস পায় সাত বছর আর অনিবার্য ট্রায়াল। ছাইগুলোর আর ফিনিক্স হওয়া হয় না।

        ইমনকল্যাণ দাসের ‘মায়াযান’ গল্প কিন্নর রায়ের বিখ্যাত ‘মায়াযান’ গল্পের মতোই একটি অভিনব গল্প। বারো নং আর তেরো নং রেলগেটের মাঝে ডাউন লালগোলা আসলে কি সত্যিই উধাও হয়ে যায় এক ঘোর লাগা সন্ধ্যায়? জয়কিষন মীনা আধা-চন্দনীর রাতে বাঘের চোখওয়ালা টর্চ হাতে দশাসই বার হয়ে এসে লাইন ধরে এমনভাবে চলতে থাকে যেন তার ঘরের পালতু কুত্তা হারিয়ে গেছে বনে। পাঠকেরও এক যাত্রা শুরু হয় যার লক্ষ্য মানুষের হৃদয়ের মতো এক মায়াযান।

        হিরন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মূত্র পদাবলি’ পাঠে ভরসা হয় নবারুণ ভট্টাচার্য প্রদর্শিত ধারাটি আরো পরিপুষ্ট হয়ে উঠবে বিবর্তনের নিজস্ব নিয়মে। শক্তিশালী এবং সাহসী কলম। একসিডেন্টও একপ্রকার মস্তি — এমনতরো নানাবিধ উচ্চারণে পাঠককে বিবশ করে ফেলার মন্ত্র লেখক জানেন।

        আইয়ুব আল আমিনের প্রচ্ছদে সজ্জিত গল্পদেশ সেই সমস্ত পাঠকের অপেক্ষায় যারা বাংলা ছোটোগল্প নিয়ে ধারাবাহিক দুশ্চিন্তা করে চলেছেন।

 

পত্রিকা সংক্রান্ত যোগাযোগ

e-mail: katharup2012@gmail.com

সংযোজন

সম্পাদক জানাচ্ছেন (১৯.০৯.২১)
বর্তমান ফোন ও হোয়াটস অ্যাপ নম্বর : 9564388650। তবে এই সংখ্যাটি বা আগের একটি বাদে কোনো সংখ্যাই পাওয়া যাবে না। (প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা সম্প্রতি রিপ্রিন্ট হয়েছে।) তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ও দ্বিতীয় যুগ্ম সংখ্যা ৪ সেপ্টেম্বর বেরিয়েছে।


‘চুঁচুড়ার রাজীব’ মানেই ‘সহদেববাবুর ঘোড়া’, ‘ভীষ্মদেবের মৃত্যুমুহূর্ত’, ‘অনেক জলের শব্দ’, ‘টাওয়ার অফ্ সাইলেন্স’, ‘হিবাকুশার ছেলে’ বা ঘোষ স্যারের গল্পগুলি — বহুচর্চিত, ভিন্নমাত্রার কিছু গল্প। জন্ম ১৯৭৭; পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা চুঁচুড়া-হুগলি-চন্দননগর। ১৯৯৭ সাল থেকে লিটল ম্যাগাজিন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত এবং নিয়মিত লেখালেখি। সম্পাদিত পত্রিকা ‘সাইন্যাপস্’। আছে বেশ কিছু কবিতার বই। প্রথম গল্প সংকলন ‘ঘর ও দরজার গল্প’। দ্বিতীয় গল্প সংকলন ‘অনেক জলের শব্দ’, তৃতীয় গল্প সংকলন 'আমাদের আশাতীত খেলাঘর'।  গল্পের জন্য বারাসাতের বহুস্বর পত্রিকার পক্ষ থেকে পেয়েছেন ২০১৯ সালের ‘অনন্তকুমার সরকার স্মৃতি পুরস্কার’। অণুগল্পের জন্য ২০১৮ সালে চুঁচুড়ার গল্প সল্পের আটচালার পক্ষ থেকে পেয়েছেন ‘উৎপল স্মৃতি পুরস্কার’। 
পেশায় বিজ্ঞান শিক্ষক। নেশায় পাঠক। প্রিয় অবকাশ যাপন  পাঁচশো বছরের পুরনো জনপদের অলিগলিতে সময়ের ভাঁজে ভাঁজে ঘুরে বেড়ানো।
    ২০২২ সালে কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয় গল্প সংকলন, 'আমাদের আশাতীত খেলাঘর'। প্রকাশিত হয়েছে 'ঘর ও দরজার গল্প' সংকলনের ওড়িয়া অনুবাদ।