শ্যামলী আচার্য

বাংলা প্রকাশনার গোড়ার কথা

শ্যামলী আচার্য


বাংলা বইয়ের হাল ফিরেছে, প্রকাশকের সংখ্যা বেড়েছে, লেখকও অগুন্তি। এসব তথ্য আশাব্যঞ্জক তো বটেই। তবে বাংলা বইয়ের প্রকাশনা তো আজকের নয়, শুরু করেছিলেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য, যাকে সুকুমার সেন আখ্যা দিয়েছিলেন বাঙালি পুস্তক প্রকাশকদিগের ব্রহ্মা প্রতিষ্ঠিত বইয়ের দোকান যখন একেবারেই হাতে গোনা, তখন বই ফিরি করে বেড়াতেন ফিরিওলা। কলকাতার অলি-গলি, বাংলার গ্রাম-গঞ্জে বহুদূর অবধি ফেরিওয়ালাদের ঝুড়িতেই বই পৌঁছেছে তখন। আমাজন বা ফ্লিপকার্টের আদিম সংস্করণ বলাই যায়। বটতলা থেকে হালের কলেজ স্ট্রিট হয়ে বহু দিকে এখন বিস্তৃত বাংলা প্রকাশনা। পুজোর আবহে, পূজাবার্ষিকীর আনকোরা গন্ধ মেখে একবার ফিরে দেখি বাংলা প্রকাশনার আদিযুগের দিকে।

ছাপাকল যন্ত্রটি কলকাতা শহরকে বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছিল। বিনয় ঘোষ তাঁর কলকাতা কালচার-এ বলেছেন, কলকাতা শহর যদি আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নবজাগরণের মহাকেন্দ্র হয়, তাহলে ধানকলের চাল, পাটকলের পাট বা কাপড়ের কলের কাপড়ের অনেক আগে, বইছাপা কলের বইপত্র সেই জাগরণের সঞ্চার করেছে বলতে হবে। প্রাসাদপুরী কলকাতা নয়, বা কলকারখানার চিমনির ধোঁয়ায় ঢাকা কলকাতা নয়, ছাপাখানায় ছাপা বইপত্রের কলকাতা, গ্রন্থ-নগরী কলকাতা-ই আমাদের আদি তীর্থস্থান। গৌড়, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদ, ঢাকা হল হাতেলেখা পাণ্ডুলিপির রাজ-নগর বা তীর্থনগরপ্রাচীন ও মধ্যযুগীয় কালচারের প্রতীক। কলকাতা শহর ছাপাখানায় ছাপা গ্রন্থ-নগরীআধুনিক কালচারের প্রতীক।

উনিশ শতকের শেষে বাংলা প্রকাশনা ছড়িয়ে ছিল চিৎপুর, হেদুয়া, সিমলা, ঠনঠনিয়া অঞ্চলে। বটতলার বিরাট ভৌগোলিক পরিসরে তখন শুধুই বাংলা বই। লালদীঘি চত্বরের সাহেবি ছাপাখানা ও শ্রীরামপুরের মিশনারিদের মার্জিত জগতের বাইরে, ডিহি চিৎপুরের অলিতে গলিতে গড়ে ওঠা, কলকাতা শহরের আরও নানান অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছাপাখানার জগৎ চটি বইয়ের বটতলা, কাঠখোদাইয়ের বটতলা, ছেনিকাটা হরফে সস্তার কাগজে ভুল বানানে বহু পরিশ্রমে সৃষ্ট অসংখ্য নাম না জানা বইয়ের বটতলা। বই পাওয়া যেত লেখকের ঘরে, (বাড়ির তক্তপোষের তলায় কত বই যে উইয়ের খাদ্য হয়েছে) অথবা প্রেসে। বিশ শতকের গোড়া থেকেই কলেজ স্ট্রিট হয়ে উঠেছে বাংলা প্রকাশনার নিউক্লিয়স।

তারাপদ সাঁতরা কীর্তিবাস কলকাতা রচনার যুগে খুঁজে পেয়েছিলেন বেশ কিছু বইয়ের দোকান; তাঁর নিজের ভাষাতেই বললে, আজ হয়তো সেকালের মতো অত বইয়ের দোকান আর নেই, তবুও যেকটি দোকান আজও আছে তার মধ্যে নাম করা যেতে পারে, ‘নৃত্যলাল শীলস লাইব্রেরী’, ‘মহেন্দ্র লাইব্রেরী’, ‘কলকাতা টাউন লাইব্রেরী’, ‘ডায়মন্ড লাইব্রেরী’, ‘তারাচাঁদ দাস অ্যান্ড সন্স’, ‘অক্ষয় লাইব্রেরী’, ‘তারা লাইব্রেরী’, ‘ক্রাউন লাইব্রেরীপ্রভৃতি। বিনয় ঘোষ বলেছেন সোল প্রোপ্রাইটারধর মহাশয়ের কথা, শীল মহাশয়ের কথা, আরও বহু প্রকাশকের কথা। আজকের বটতলায় তাঁরা সকলেই স্মৃতি পড়ে রয়েছে কেবল দুটি দোকান, ডায়মন্ড লাইব্রেরী ও মহেশ লাইব্রেরী।

চিৎপুর অঞ্চলে পুরনো ঘরানার একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড লাইব্রেরি। ১৮৭৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নদেরচাঁদ শীল। এই প্রকাশনার কাজই ছিল মূলত যাত্রা এবং নাটকের বইপত্র প্রকাশ করা। একসময় এঁরা ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ থেকে শুরু করে বহু জনপ্রিয় পালা-রচয়িতার বই ছেপেছেন যত্ন করে। সামাজিক-ঐতিহাসিক-পৌরাণিক যাত্রাপালাকে ক্রমশ অজগরের মতো আষ্টেপৃষ্টে চেপে ধরেছে বোকা বাক্সের সিরিয়াল; কাজেই বদলে যাওয়া সময়ে তাঁদের ব্যবসা আজ তলানিতে। 

বিশ শতকের গোড়া থেকে বাংলা প্রকাশনার একটি সংগঠিত রূপ চোখে পড়ে। উনিশ শতকের শুরুতে প্রকাশনা প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে উঠতে পারেনি। যা তথ্য পাচ্ছি, তার মধ্যে থেকে উঠে আসছে ১৭৮১ সাল। এই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় অনারেবল কোম্পানিজ প্রেস, ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির নিজস্ব কাজকর্মের প্রয়োজনেই যার সূত্রপাত। ১৭৮৫ সালে জন হে একটি বই-বিপণিও খোলেন। শ্রীরামপুর মিশন প্রেস, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলা প্রকাশনা এর পরেই ধীরে ধীরে তৈরি হল। মিশনারিদের উদ্যোগে বাঙালিরাও এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন। বিশ শতকের শেষেও যিনি মুদ্রক, তিনিই প্রকাশক। উনিশ শতকের তিনের দশকে চিৎপুরে নৃত্যলাল শীলের বইয়ের দোকান এন এল শীল অ্যাণ্ড কোম্পানির আজ আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ব্রাহ্ম সমাজের বই কেনার জন্য যেতে হত গরানহাটার চৌরাস্তায় ব্রাহ্মসমাজের লাইব্রেরিতে। রামমোহন রায়ের বই ছাপা হয়েছে ফেরিস অ্যাণ্ড কোম্পানি, ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস এবং সংস্কৃত প্রেসে।   

উনিশ শতকের শেষে একে একে এলেন ঈশ্বরচন্দ্র বসু (আই সি বসু নামেই যিনি বিখ্যাত), তিনি তৈরি করলেন স্ট্যানহোপ প্রেস। তাঁর আই সি বসু অ্যাণ্ড কোম্পানি হয়ে ওঠে সেকালের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা। মাইকেল মধুসূদন থেকে প্যারীচাঁদ মিত্রের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন এঁরা। এই সময়ে কলকাতার সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান ছিল যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সংস্থার নাম ছিল ক্যানিং লাইব্রেরি।  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সংস্কৃত প্রেস ডিপোজিটোরির নাম অনেকেই জানি, কিন্তু গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়কে নিশ্চিতভাবেই বিস্মৃত হয়েছে বাঙালি। ১৮৮৫ সালে ২০১ নম্বর কর্ণওয়ালিস স্ট্রিটে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গুরুদাস লাইব্রেরি। কে ছিলেন না এই প্রকাশনার ছাতার তলায়? রবীন্দ্রনাথ, শরতচন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় অবধি বললেই বোঝা যাবে গুরুদাস লাইব্রেরিকী অসাধারণ সব মণিমাণিক্য জড়ো করতে পেরেছিলেন। 

গুরুদাস চটোপাধ্যায় ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাঁর জন্ম নদিয়া জেলার দাদপুর গ্রামে। কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন হিন্দু হোস্টেলের কর্মচারী। মেডিক্যাল কলেজের আবাসিক ছাত্রদের ফরমায়েসে ডাক্তারির বই এনে দিতেন গুরুদাস। এভাবেই বইয়ের সঙ্গে পরিচয়, নতুন পেশার সূচনা।  ১৮৭৬ সালে বউবাজারে একটি ঘর ভাড়া নিলেন। সেখানে শুরু করলেন বেঙ্গল মেডিক্যাল লাইব্রেরি। ক্রমশ সাধ জাগল এবার নিজেই শুরু করবেন বই প্রকাশনা। যখন তিনি পুরোদস্তুর প্রকাশক হননি, কেবলমাত্র বইবিক্রেতা, তখনই রবীন্দ্রনাথ নিজের বই বিক্রির দায়িত্ব তাঁকে দিয়ে লিখিত চুক্তি করছেন। বঙ্কিমচন্দ্রও বই বিক্রির ক্ষেত্রে শরণাপন্ন হতেন গুরুদাসের। গুরুদাসের প্রথম প্রকাশনা রজনীকান্ত গুপ্তের লেখা সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস। ১৮৮৬ সালে প্রথম খণ্ডের পরে ১৮৯২, ১৮৯৩, ১৮৯৭ এবং ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয় পর পর পাঁচটি খণ্ড। সব মিলিয়ে মোট ১৫৫০ পাতার বইটি তাঁকে সাফল্যের সিঁড়ি চিনিয়ে দেয়।   

বাংলা পেশাদার রঙ্গমঞ্চ এবং বাংলা নাটকের স্বর্ণযুগ সেই সময়। ফলে অসংখ্য নাট্যকারের বই ছাপা হয়েছে এই প্রকাশনা থেকে। গুরুদাসের প্রকাশনা দপ্তর ছিল ২০৩/১/১ কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট, আর ঠিক পাশের ২০২ নম্বর বাড়িতেই থাকতেন নাট্যকার মনোমোহন বসু। মনোমোহন ছড়া লিখেছিলেন গুরুদাসকে নিয়ে,

চাঁদের হাট পেতেছেন পাড়ায় গুরুদাস...
কি বা শান্ত ছেলে হরি, মরি মরি কী মাধুরী
ও তায় দেখলে সাধ যায় কোলে করি
কথা শুনলে হয় উল্লাস...

জীবদ্দশাতেই প্রকাশনার ব্যবসার হাল ধরেন পুত্র সুধাংশু ও হরিদাস। যদিও বর্তমানে বিধান সরণিতে এই বাড়িদুটি আর নেই, রয়েছে শুধু প্রকাশনার নাম লেখা একটি পাথরের ফলক। অথচ, প্রকাশক হিসেবে আকাশছোঁয়া বাণিজ্যিক সাফল্য এসেছিল শরৎচন্দ্রের প্রথম বই বিরাজ বউপ্রকাশ করে। সেই সময় প্রায় সমস্ত প্রথম সারির লেখকদের বই প্রকাশিত হয়েছিল এই প্রকাশনা থেকে। নিরুপমা দেবী, জলধর সেন, হেমনলিনী দেবী, মানকুমারী বসু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, প্রবোধকুমার সান্যাল, রাধারাণী দেবী হরিসাধন মুখোপাধ্যায়, রজনীকান্ত সেন, প্রভাবতী দেবী সরস্বতী সহ বহু নাম উঠে আসবে এই তালিকায়। এর মধ্যে কয়েকজন লেখকের আট আনাসিরিজের বইও ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল।     

প্রসঙ্গত একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। বিশ্বভারতী প্রকাশনের আগে রবীন্দ্রনাথের বই বিক্রি হত ক্যানিং লাইব্রেরি আর চিনেবাজারে পদ্মচন্দ্র নাথের দোকানে। বসুমতী সাহিত্য মন্দির, মজুমদার লাইব্রেরি আর ইণ্ডিয়া পাবলিশিং হাউস নিয়মিত ছাপতেন রবীন্দ্রনাথের বইপত্র। খুঁতখুঁতে মানুষটি বুঝেছিলেন বাঙালির ব্যবসাবিমুখ মনোভাবে তাঁর বইগুলিই কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। দূরদর্শী মানুষটি নিজস্ব উদ্যোগে প্রকাশনা সংস্থা শুরু করতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করেননি। এখনকার লেখকদের সেলফ পাবলিশিংনিয়ে যারা আপত্তি করছেন, তাঁদের একবার বিশ্বভারতী প্রকাশনা এবং রবীন্দ্রনাথের  উদ্দেশ্য নিয়ে একটু তলিয়ে ভেবে দেখতে পারেন।

উনিশ ও বিশ শতকের অনেক প্রথিতযশা বাংলা প্রকাশনা সংস্থা আজ বিস্মৃতির গর্ভে। এর মধ্যে উনিশ শতকের বেণীমাধব দে অ্যাণ্ড কোম্পানি, বিহারীলাল শীল ও আনন্দলাল শীল, থ্যাকার স্পিংক অ্যাণ্ড কোম্পানি, বিশ শতকের যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সিটি বুক সোসাইটি, কমলা বুক ডিপো, মহেন্দ্র দত্তের বাণী মন্দির, স্টুডেন্টস লাইব্রেরি, মিনার্ভা লাইব্রেরি অবধিই নাম পাওয়া যায়।  

দুটি অন্য ধারার প্রকাশনের কথা জানাই।

বিশ শতকের গোড়ায় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেওয়া গোপালদাস মজুমদার আর বারীন্দ্রকুমার ঘোষের বিজলীপত্রিকার ম্যানেজার বিধুভূষণ দে এই দুই বন্ধু মিলে গড়ে তোলেন ডি এম লাইব্রেরি। দুই বন্ধুর পদবীর আদ্যক্ষর মিলিয়ে এই নামকরণ। এই প্রকাশনার প্রথম বই ছিল বারীন্দ্রকুমার ঘোষের আত্মজীবনী--  বারীন্দ্রের আত্মকাহিনি অরবিন্দ ঘোষ, চিত্তরঞ্জন দাশ যেহেতু জড়িয়ে ছিলেন এই সংগঠনে, কাজেই পুলিসের নজরদারিও ছিল। কিন্তু খুব শিগগিরই এই প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠল সমকালীন প্রায় সব প্রধান সাহিত্যিক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক। কাজী নজরুল নিয়ে এলেন তরুণ বিদ্রোহী সাহিত্যিকদের। এদের মধ্যে প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব বসু রয়েছেন। অন্নদাশংকর রায়ের প্রথম উপন্যাস আগুন নিয়ে খেলা’, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়্যের দিবারাত্রির কাব্য’, জীবনানন্দের ধুসর পাণ্ডুলিপিএদের প্রকাশনা সংস্থা থেকেই প্রকাশিত। লাহোর থেকে রেঙ্গুন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যেখানেই বাঙালি বসতি ছিল, সেখানেই ডি এম লাইব্রেরির ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছিল।

শেষে বলি বাংলা সাম্যবাদী সাহিত্যের প্রধানতম প্রকাশনা ন্যাশনাল বুক এজেন্সির কথা। ১৯৩৯ সালের ২৬ জুন দুঃসাহসী কয়েকজন কমিউনিস্ট পার্টিকর্মীর উদ্যোগে মার্কসবাদী সাহিত্য প্রসারের কেন্দ্র হিসেবে এই প্রকাশনার শুরু। অসাধারণ সমস্ত অনুবাদ ছিল এদের তালিকায়। গোপাল হালদার, চিন্মোহন সেহানবিশ, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন এই প্রতিষ্ঠনের লেখক-অনুবাদক। ১৯৪৩ সালে পুরোদস্তুর কমিউনিস্ট পার্টির প্রকাশনা হিসেবে এই সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুজফফর আহমেদ। প্রচার, প্রকাশ এবং সাংগঠনিক স্তরে যোগাযোগের কাজে তখন সাহায্য করতেন প্রমোদ দাশগুপ্ত।

 অবশ্যই বলা যায় আরও অনেকের কথা। শিশির পাবলিশিং-এর একচেটিয়া দস্যু মোহন সিরিজযেমন। মোট দুশো ছয়টি বইয়ের সবকটি এখনকার ভাষায় বাম্পার হিট। এখন যুগ বদলেছে, সময় এগিয়েছে, পুরনো প্রকাশনার ধরন, পাঠকরুচি, লেখক-পাঠক সম্পর্কের রসায়নও বদলেছে। রয়েছে বই। যে সবথেকে বড় বন্ধু। 

তথ্যঋণ - কোরকপত্রিকা একদিন নবপত্রিকা, অর্ণব সাহা

মূল সূচিতে ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করতে হবে

-------------------------------

লেখক পরিচিতি

শ্যামলী আচার্য। জন্ম কলকাতা '৭১

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং 'ফ্রেশ ওয়াটার ইকোলজি' বিষয়ে গবেষণা করে পাওয়া পি এইচ ডি ডিগ্রি। বর্তমানে লেখিকার ভাষায়, 'অনেক না বলা কাহিনি নিয়ে শব্দযাপন'।

আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, উনিশ-কুড়ি, এই সময়, একদিন, প্রাত্যহিক খবর এবং বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে গল্প প্রকাশিত হয়েছে। গাংচিল প্রকাশনা থেকে প্রথম গল্প সংকলন অসমাপ্ত চিত্রনাট্য। রা প্রকাশন থেকে দ্বিতীয় গল্প সংকলন প্রেমের ১২টা। ২০২২ সালে সংবিদ থেকে প্রকাশিত উপন্যাস 'সুখপাখি'। রা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'জলের দাগ'। ২০২৩ সালে উপন্যাস 'এবং ইশতেহার' প্রকাশিত।

এছাড়া গবেষণালব্ধ বই, 'শান্তিনিকেতন' ও ফিচার সঙ্কলন 'মলাটে দৈনিক' প্রকাশিত। প্রকাশক দাঁড়াবার জায়গা।