কী ব্যাপার আপনাকে এরকম দেখাচ্ছে কেন? সারারাত ঘুম হয়নি বুঝি?
আমার হয়ে বিমল বলল, ঠিকই ধরেছেন রথীন দা। অমলের খুব বিপদ। একটা উপকার করতে হবে আপনাকে।
কী বিপদ?
বললাম, ছেলেটার
কাল থেকে ব্লাড ভমিটিং। কাল সারারাত হাসপাতালে ফেলে রেখে আজ সকালে বলল, কলকাতার কোন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে হবে। অবস্থা খুব ডেটোরিয়েট করেছে।
বেশ তো ওখানেই নিয়ে যান।
কিন্তু ওখানে তো আমাদের কোন চেনাশোনা
নেই। আর কোন রেফারেন্স না থাকলে ওরকম এ্যাকিউট পেসেন্ট কে নিয়ে. . .
ঠিক আছে, ঠিক
আছে। বলতে বলতে পাশে রাখা প্যাডটা টেনে নিলেন রথীন দা। আমাদের বাইশ নম্বর
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্যাড এর ওপর লেখা শুরু করতেই বললাম, এই
কারণেই আপনার কাছে আসা। আপনার কাছে মানে দিদির কাছে। দিদি না থাকলে আমাদের যে কী.
. .
ঠিক এই জায়গায় বিমল আমার কব্জিতে চাপ
দিয়ে ফিসফিস করে বলল, রথীনদা এখন আর ঘাসফুলে নেই,
পদ্মফুলে।
আমিও চাপা গলায় বললাম, গত পরশু পর্যন্ত পদ্মফুলেই ছিলেন। খবর পেয়েছি, কাল রাত থেকে আবার উনি দিদির কাছে ফিরে এসেছেন। 🚫
অলংকরণ - সাইন্যাপস্ পত্রিকা
সাইন্যাপস্
পত্রিকা ওয়েবে প্রকাশিত
9 মন্তব্যসমূহ
অণুগল্পটি অনবদ্য। সম্পাদকের পূর্ব-ঘোষণা একদমই সঠিক। এটি একটি যথার্থ পরমাণু বোমা বিশেষ। সাইন্যাপসকে ধন্যবাদ এটি প্রকাশ করার সাহস দেখানোর জন্য। আর শ্রদ্ধেয় গল্পকার গৌর বৈরাগীকে আমার প্রণাম।
উত্তরমুছুনবাহ।চমৎকার বাস্তব ছবি ফুটে উঠেছে।
উত্তরমুছুনকী বিস্ফোরক বিদ্রুপ।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ গৌর-দা।
ধন্যবাদ রাজীব বাবু।
খুব সময়োপযোগী ও বাস্তব। সারকারাজমের মোড়কে জোড়ালো চিমটি। অনবদ্য গৌরদা।
উত্তরমুছুনবাঃ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনবাঃ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনদারুণ।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনবাহ্ দুর্দান্ত গল্প
উত্তরমুছুন