কথায় কথায় রাজীব।। রুনুর কথা

 “এই ভালোবাসাগুলি, এই মুখগুলি…”

   কিশোর ভারতীর পুরনো পুজোসংখ্যা থেকে শ্যামাদাস দে মহাশয়ের রুনু সিরিজের মাত্র দু’টি উপন্যাস আমি পড়েছিলাম ছোটোবেলায়, সেটা মোটামুটি ১৯৮৮ সালের কাছাকাছি হবে। মনে আছে কলকাতা বইমেলায় (তখন ময়দানে) পত্র ভারতীর স্টলে খোঁজ করেছিলাম রুনুর কোনো সংকলন আছে কিনা, সেটা হবে ২০০০ সালের কাছাকাছি। অর্থাৎ এই কিশোর কাহিনি এক যুগ বসে ছিল আমার মনের মাঝারে ইচ্ছে হয়ে। ইচ্ছে – রুনুর সমস্ত কাহিনিগুলো পড়ব একেবারে শুরু থেকে।

    পত্র ভারতী থেকে তিনটি রুনু কাহিনি নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল, যার প্রচ্ছদ করেছিলেন সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বইয়ের বিজ্ঞাপন ছোটোবেলায় আমি দেখেছিলাম। আমার দুর্ভাগ্য সেই বইটি তার অনেক আগেই নিঃশেষিত, তাই খালি হাতে ফিরতে হয়। তারপর বইমেলা গেলেই খোঁজ করতাম, রুনুর বই বেরোবে না? আমি আশ্চর্য হতাম কেন যে জনপ্রিয় এই কাহিনিগুলি গ্রন্থিত হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে না! সুখের কথা ১৯৮৪ সালে কিশোর ভারতীতে প্রথম প্রকাশিত হবার একচল্লিশ বছর পরে, পত্র ভারতী থেকে জানুয়ারি ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়েছে শামাদাস দে মহাশয় বিরচিত ‘রুনু সমগ্র’। হ্যাঁ, ‘বিরচিত’, একে ‘লেখা’ বললে বোধহয় সেই মর্যাদাটা দেওয়া হবে না।

    প্রকাশিত হবার পর পত্র ভারতীর বর্তমান কর্ণধার ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের ভূমিকা থেকে জানা গেল এত বিলম্বের হেতু। পাঠক হিসাবে আন্তরিক ধন্যবাদ দেব শামাদাস দে মহাশয়ের পুত্র কনক কান্তি দে মহাশয়কে যিনি ‘স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে’ চিঠি লিখে অনুমতি দিয়ে সম্ভব করেছেন রুনুর মোট ১৩টি কাহিনির একত্রিত প্রকাশ। ধন্যবাদ পত্র ভারতীকেও। প্রকাশনায় অবশ্যই লাভ-ক্ষতির হিসাব থাকে কিন্তু দিনের শেষে প্রকাশকের যা প্রার্থীত পাওনা থাকে তা হল পাঠকদের সম্মান। রুনুর পাঠকদের কাছ থেকে সেই সম্মান অবশ্যই পত্র ভারতীর প্রাপ্য। তবে পাঠক হিসাবে একটু অনুযোগ রইল, মৃণাল শীল মহাশয় সুন্দর প্রচ্ছদ করলেও সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই প্রচ্ছদটি মূল প্রচ্ছদ হিসাবে স্থান পেলে ভালো লাগত। অবশ্য দ্বিতীয় প্রচ্ছদে তার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে। ওই উডকাট স্টাইলে আলো আঁধারি বোধহয় রুনুর সমগ্র জীবনটাকেই চিহ্নিত করে দেয়। বর্তমান সংকলনে ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্যের অলংকরণ কাহিনির সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। 

    

মৃণাল শীলের অঙ্কিত সুন্দর প্রচ্ছদটি

সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের আঁকা রুনুর গল্প সংকলনের প্রচ্ছদ।
আশির দশকে তিনটি গল্প নিয়ে হয়েছিল এই সংকলনটি।
    

    রুনু সমগ্র পড়া শুরুর আগে মনে ভয় ছিল। যদি ছোটোবেলার ভালোলাগা আর ফিরে না পাই। এর মধ্যে কত শত পাঠ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছে মন, যদি সেই মন এবার প্রত্যাখ্যান করে। কে না জানে, ছোটোবেলার মুগ্ধতা বড়বেলায় বিসর্জন হয়ে যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আমার আশঙ্কা অমূলক ছিল। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “আজ আমি সাহিত্যের কারুকারিতা সম্বন্ধে, তার ছন্দতত্ত্ব তার রচনারীতি সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করব মনে স্থির করেছিলুম। এমন সময় বাজল বাঁশি। ইন্দ্রদেব সুন্দরকে দিয়ে বলে পাঠালেন, ‘ব্যাখ্যা করেই যে সব কথা বলা যায়, আর তপস্যা করেই যে সব সাধনায় সিদ্ধিলাভ হয়, এমন-সব লোকপ্রচলিত কথাকে তুমি কি কবি হয়েও বিশ্বাস কর। ব্যাখ্যা বন্ধ করে, তপস্যা ভঙ্গ করে যে ফল পাওয়া যায় সেই হল অখন্ড; সে তৈরি-করা জিনিস নয়, সে আপনি ফ’লে ওঠা জিনিস।’” রুনুর কাহিনি হল এই ‘আপনি ফলে ওঠা জিনিস’। খুব  সত্যি কথা বলতে বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুসাহিত্যের নামে উৎকট যে-সব কাহিনি তৈরি করে প্রতিনিয়ত জোগান দেওয়া চলেছে তারা ম্লান হয়ে যাবে আশির দশকের এই কাহিনিগুচ্ছের সামনে। যে-সব কাহিনির পটভূমি আরো পুরনো, স্বাধীনতা পূর্ব বাংলা যা বর্তমানে বাংলাদেশ।

    না, আমার পূর্বপুরুষের কেউ পূর্ববঙ্গের নয়, তারা এই অ-পূর্ববঙ্গেরই বাসিন্দা ছিলেন। সুতরাং সেই দিক থেকে কোনো ভাবপ্রবণতার অবকাশ নেই। কিন্তু জানতে তো ইচ্ছে করে, কেমন ছিল ওই বঙ্গের জীবন! কেমন ছিল স্বাধীনতা পূর্ব সেই সময়ের পড়াশুনা, বড় হয়ে ওঠা! এই দিক দিয়ে দেখতে গেলে রুনুর কাহিনি এক অসামান্য সামাজিক দলিল। এত সামাজিক উপাদান এই ১৩টি কাহিনির মধ্যে আছে যে বলার নয়। শুধু স্থান বা নদী (বিশেষত মধুমতী) নয় শ্রীনাথ পন্ডিত মশাইয়ের ছোটো ছেলে রণজিতের শিক্ষাপ্রচেষ্টার কাহিনির হাত ধরে উঠে এসেছে সমাজ-সংসার। এই পরিণত পাঠক বয়সে পড়তে বসে শ্যামাদাস দে মহাশয়কে কৃতিত্ব দিতেই হয় এইজন্য যে তিনি এই বড় হয়ে ওঠার কাহিনিকে ছোটোদের কাহিনি করে তোলার কৃত্রিম প্রয়াসে এর থেকে সমাজের ক্ষতচিহ্নগুলিকে সরিয়ে রাখেন নি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই কাহিনির হাত ধরে এসেছে সাংসারিক দ্বন্দ বা অশান্তি, দারিদ্র, ডাকাতি, নদীপাড়ের ভাঙন, জীবিকা সমস্যা, এবং আরো সাংসারিক সমস্যা। এই দিক দিয়ে দেখলে রুনু কোনো বিচ্ছিন্ন ছোটোদের চরিত্র হিসাবে অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে নি। এটা লেখকের অনেক বড় কৃতিত্ব। তিনি তার কিশোর পাঠকদের সম্মান দিয়েছেন। ভরসা রেখেছেন তাদের বুদ্ধিবৃত্তির ওপর।

    শ্যামাদাস দে মহাশয়ের পরিচয় ব্লার্ব থেকে যা জানা যাচ্ছে, জন্ম ১৯১৭, ফরিদপুর জেলার গোবরা গ্রামে। যার পরিচয় তিনি প্রথম কাহিনিতেই দিয়েছেন, “মধুমতীর নয়া চরের উপর একটা নয়া বসত। নয়া চর মানে অবশ্য একেবারে হালের নয়। এ চরের বয়সও প্রায় পঞ্চাশ বছর হল বৈকি। মধুমতীর এই নয়া বসতটার নাম গোবরার চর। আসলে গোবরা গ্রাম অতি প্রাচীন গ্রাম। সাবেক মধুমতী তার শয্যা বদল করে অনেক পশ্চিমে চলে এসেছে। পুব পারে বিশাল চর। এ চরের এক এক জায়গার এক এক নাম।…সাবেক মধুমতীর শয্যাটা এখন সবুজ মাঠ। এখনও সে মাঠের নাম ছোট গাঙ।”

  

শ্যামাদাস দে মহাশয় (১৯১৭ - ১৯৮৬)
ছবিঃ রুনু সমগ্রের ব্লার্ব থেকে।
ঋণ স্বীকারঃ পত্র ভারতী

  শ্যামাদাসবাবু নারায়ণগঞ্জ ও পরে বরিশাল শহরের বি.এম. কলেজে পড়াশুনো করেছেন। স্বাধীনতার পর রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। অবসর নিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৬ সালে বারাসাতে তার জীবনাবসান ঘটে। বাকি কিছু তথ্য পাঠক ব্লার্বে পেয়ে যাবেন। ত্রিদিববাবু জানিয়েছেন, দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (কিশোর ভারতীর প্রতিষ্ঠা সম্পাদক) শ্যামাদাসবাবুর ‘বহে মধুমতী’ নামে বড়দের জন্য লেখা উপন্যাস পড়ে মুগ্ধ হয়ে তার মূল চরিত্র রুনুকে নিয়ে কিশোর ভারতীতে লিখতে বলেছিলেন শ্যামাদাসবাবুকে। তিনি আরো জানিয়েছেন রুনু চরিত্রের মধ্যে অনেকখানি লুকিয়ে আছেন লেখক নিজেও।

    তাহলে কি শুধু স্মৃতিকাতরতা পূর্ণ করার জন্য বর্ষীয়ান পাঠকেরা এই সংকলন কিনবেন এবং পড়বেন? নবীন পাঠকেরা কী পাবে এই সংকলন থেকে? আদৌ তারা কি আপন করে নেবে রুনুকে, যেভাবে একদা আট-নয়ের দশকে আমরাও আপন করে নিয়েছিলাম? প্রথম দু’টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে আমরা দেখব রুনুর কাহিনি থেকে আমাদের প্রাপ্তি অনেক।

১. রুনু কাহিনির ভাষা তরতর করে বয়ে চলে। স্বচ্ছন্দ। কোথাও হোঁচট খেতে হয় না। সহজভাবে সরলভাবে বলে যাওয়া কাহিনি, অথচ হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

২. প্রকৃতি, আহা! প্রকৃতি জড়িয়ে আছে অনিবার্যভাবেই। ঘামাচি লতা, যা নাকি ঠিক পাকানো সুতার মতো এমনকি তা দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো যায়, ঝুটকুলী পাখি, ঝামানো বেতফল আরো কত কানে অচেনা ঠেকা শব্দ উঠে আসে।

৩. সেই সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা পাঠশালা থেকে কলেজ অবধি ফুটে উঠেছে অকৃত্রিমভাবে। বর্তমানে যে কিশোর সে অনায়াসে একটা তুলনা করার সুযোগ পেয়ে যায়। এটা কম বড় কথা নয়।

৪. চরিত্র! কত কত চরিত্র! রুনুর জীবনপথে তাদের আবির্ভাব-প্রস্থান। সমাজের নানা স্তরের মানুষের ছবি আঁকা আছে এখানে। কিছু চরিত্র যেন ‘সুররিয়াল’ যেমন দ্বিজু গোসাঁই।

৫. বর্তমান প্রজন্মের কাছে লাইফ স্কিলের বইপত্রের খুব কদর। ডেল কার্নেগি থেকে শিব খেরা বা রবিন শর্মা। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় অনেক রুনুকে আমি দেখেছি। রুনুরা তো সর্বযুগে সর্বকালে বিদ্যমান। রুনু কাহিনি তাদের সংকল্প আরো দৃঢ় করে তুলতে পারে অবশ্যই।

৬. রুনুর কাহিনির পটভূমি হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের দু’যুগ। এই পটভূমিতে একটি ছাত্রের পথ চলা বৃহত্তর জীবনের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে সমকালীন অনেক খুঁটিনাটি কথা। অনেক তুচ্ছ তথ্যও যা হয়ত সবার কাছে তুচ্ছ নয়।

✔ “পৌষ এল কৃষকবধূর মুখে হাসি ফুটিয়ে। সেই খুশির বার্তা বয়ে নিয়ে এল হোলোই গাওয়ার দল। আটদশটি কৃষক ছেলের এক একটি দল। গায়ে জীর্ণ জোলাই চাদর না হয় শুধু একখানা গামছা। মাথায়ও গামছার পাগড়ি। প্রত্যেকের হাতে এক একখানা লাঠি। সন্ধের পরেই হোলোই গাওয়ার দল আসতে থাকে গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি। উঠোনে পা দিয়ে ওরা চিৎকার করে ধ্বনি দেবে, ‘বাস্তে-এ-র বর, ধানে চাল দে গোলা ভর।’” (ঘরের কাছেই রুনু)

✔ “সরকার তাঁকে বোধহয় আর বাজুনিয়ায় আসতে দেবে না। নরেনদাকে তারা ‘ডেটিনিউ’ করে রেখেছে বিহারের একটা থানায়। অর্থাৎ জেলের বাইরে থেকেও জেলেই আছেন।…আমাকে করেছে ‘হোম-ইনটার্নড’। অর্থাৎ গৃহবন্দী।” (গৃহহারা রুনু)

✔ “- কীসের কারবার? প্রশ্ন করে রুনু।

- সে সব কি আমি বুঝিরে ভাই। নতুন নতুন কথা শুনি। শুনি, মেলেটারি সাপ্লাই, কন্টোল, রেশোনকাঠ। কোনওডার মানে বুঝি না।

    যেটুকু বলল সেজদি, তাতেই ঘোষমশায়ের ‘কারবার’টার কিছু আভাস পেল রুনু। বুঝল, এই যুদ্ধটা যেমন সেজদিকে দিয়েছে সর্বনাশ, তেমনি বড়দিকে দান করেছে ‘স্বর্ণডিম্ব’ প্রসবকারী হংস।” (জীবন-দ্রষ্টা রুনু)

   

ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্যের একটি অলংকরণ
ঋণ স্বীকার - পত্র ভারতী

    তাহলে নতুন প্রজন্ম কি আপন করে নেবে রুনুকে? এর উত্তর দেওয়া বড় শক্ত। এই বিপুল বিনোদন বিস্ফোরণের যুগে,  ফ্যান্টাসির যুগে তারা কি ফিরবে মাটির টানে? তবে এও মনে হয়, করোনা পর্বে যারা স্কুল থেকে বঞ্চিত হয়ে চলেছিল তাদের ভাবাবেগের পটচিত্র কি অপরিবর্তিত থেকে গেছে? এই মহামারীর প্রেক্ষাপটে তাদের চিন্তাধারায় কি কিছু বদল এসেছে? তাদের মনের পটচিত্রে মধুমতী পাড়ের একটি গ্রাম্য বালকের কি ঠাঁই হবে না?  কাল্পনিক যত সিরিজেরা কি এই মাটির পৃথিবীর বুকে ঘটে চলা প্রকৃত জীবনকাহিনিকে ঢেকে দেবে? যদি ধরে নিই রুনু সমগ্রের প্রথম সংস্করণের বিক্রি নির্ভর করবে স্মৃতিকাতরতার ওপর তাহলে সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে দ্বিতীয় সংস্করণ কত সময়ে নিঃশেষিত হচ্ছে সেই তথ্য থেকে। আমরা স্মৃতিকাতর প্রজন্ম অপেক্ষায় থাকলাম।

    ১৩টি কাহিনির সংকলন হলেও সামগ্রিকভাবে এটিকে একটি বৃহৎ উপন্যাস হিসাবেও আমরা বিবেচিত করতে পারি। উপন্যাসগুলি প্রকাশকাল অনুসারে উল্লেখ করা হল। সবকটি উপন্যাস শারদীয়া কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত। একটি শুধু গল্প যা সাধারন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিটি কাহিনির পটভূমি যে স্থানে রচিত হয়েছে তা উল্লেখ করে দিলাম।


১৯৭১ - ঘরের কাছেই রুনু ।। ফরিদপুর জেলার গোবরা গ্রাম, মধুমতী নদী, গোপালগঞ্জ

১৯৭৩ - ঘর ছাড়া রুনু ।। বাজুনিয়া, বাজুনিয়া মাইনর স্কুল, মাঝিগাতি গ্রাম

১৯৭৪ - ঘরের টানে রুনু ।। গোবরা, গোপালগঞ্জ,

১৯৭৫ - পরের ঘরে রুনু ।। গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল

১৯৭৬ - ঘরে ঘরে রুনু ।। মধুমতী পুরনো ভিটে খেয়ে নিলে নতুন ভিটেয় ওঠা, গোপালগঞ্জ

১৯৭৭ - গৃহহারা রুনু ।। বাজুনিয়া, গোবরা

১৯৭৮ - শিকার অভিযানে রুনু ।। গোবরা

(এটি ছোটো গল্প, জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত)

১৯৭৮ - নিজের পায়ে রুনু ।। রূপসা নদীর ধারে নন্দনপুর গ্রামে নতুন বসত, বরিশাল, বি এম কলেজ

১৯৭৯ - রায়পরিবারে রুনু ।। বরিশাল, বি এম কলেজ

১৯৮০ - বৃন্তচ্যুত রুনু ।। বরিশাল, বি এম কলেজ, কাউনিয়া, নরোত্তমপুর, নন্দনপুর,

১৯৮১ - রুনু হল রণজিত ।। বরিশাল, নন্দনপুর

১৯৮২ - পুনরাগত রুনু ।। খুলনা, নন্দনপুর, মৌভোগ স্টেশনের কাছে এক গ্রাম, গোপালগঞ্জ

১৯৮৪ - জীবন-দ্রষ্টা রুনু ।। সাতপাড়া গ্রাম, ঘাগর

--------------------------------------------------------
লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে⌛২৩.০৪.২০২২ তারিখে
---------------------------------------------------------

আলোচিত গ্রন্থ ।।।। 

রুনু সমগ্র।। শ্যামাদাস দে।। 

পত্র ভারতী।। ISBN 978-81-8374-679-3

প্রথম প্রকাশ।। জানুয়ারি ২০২২

হার্ড বোর্ড বাইন্ড।। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৮০ ।। মূল্য ৫৪৯টাকা



রাজীব কুমার ঘোষ
‘চুঁচুড়ার রাজীব’ মানেই ‘সহদেববাবুর ঘোড়া’, ‘ভীষ্মদেবের মৃত্যুমুহূর্ত’, ‘অনেক জলের শব্দ’, ‘টাওয়ার অফ্ সাইলেন্স’, ‘হিবাকুশার ছেলে’ বা ঘোষ স্যারের গল্পগুলি — বহুচর্চিত, ভিন্নমাত্রার কিছু গল্প। জন্ম ১৯৭৭; পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা চুঁচুড়া-হুগলি-চন্দননগর। ১৯৯৭ সাল থেকে লিটল ম্যাগাজিন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত এবং নিয়মিত লেখালেখি। সম্পাদিত পত্রিকা ‘সাইন্যাপস্’। আছে বেশ কিছু কবিতার বই। প্রকাশিত গল্প সংকলন ‘ঘর ও দরজার গল্প’, ‘অনেক জলের শব্দ’, 'আমাদের আশাতীত খেলাঘর'। গল্পের জন্য বারাসাতের বহুস্বর পত্রিকার পক্ষ থেকে পেয়েছেন ২০১৯ সালের ‘অনন্তকুমার সরকার স্মৃতি পুরস্কার’। অণুগল্পের জন্য ২০১৮ সালে চুঁচুড়ার গল্প সল্পের আটচালার পক্ষ থেকে পেয়েছেন ‘উৎপল স্মৃতি পুরস্কার’। 
পেশায় বিজ্ঞান শিক্ষক। নেশায় পাঠক। প্রিয় অবকাশ যাপন  পাঁচশো বছরের পুরনো জনপদের অলিগলিতে সময়ের ভাঁজে ভাঁজে ঘুরে বেড়ানো।