সাইন্যাপস্‌ পত্রিকার গল্প ৫
বিমল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প স্বজন

কল্যাণ সঙ্গে আসতে চেয়েছিল। রাজীব রাজি হয়নি। বলেছে, প্রাইমারী ইনফরমেশন, আমি একাই সামলাতে পারব। তুই বরং ফোন কল অ্যাটেন কর। একটা কলও যেন মিস না হয়।

    মুখে মাস্‌ক লাগিয়ে রাজীব, চামড়ার ব্যাগটিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। অল্প পথ। পায়ে হেঁটে যাবে। ঠিক জায়গায় পৌঁছে রাজীব বাড়িটি আন্দাজ করতে পারল। পুকুরের পশ্চিমপাড়ের তিনটি বাড়ির মধ্যে, মাঝের বাড়িটিতে তাকে আসতে বলা হয়েছে। রাজীব নিশ্চিত তার ধারণায় কোন ভুল হচ্ছে না। তিনটিই নতুন বাড়ি। প্রত্যেকটি বাড়ি-ই দোতলা। এমনকি আকার আয়তনেও প্রায় কাছাকাছি। রাজীবের কাছে একটা ফোন নম্বর রয়েছে। কিন্তু ফোন করে কনফার্মড্‌, হতে হবে, এমনটা মনেই হল না তার। সে স্থির বিশ্বাসী পায়ে মাঝের বাড়িটির দিকে এগিয়ে গেল। দেওয়ালে ঝোলানো নেমপ্লেটে বাড়ির নম্বর এবং মালিকের নাম দেখে, নিজের ওপর আস্থা বেড়ে গেল। তার ধারণা নির্ভুল। সে ঠিক জায়গায় এসেছে।

    লোহার গেট খুলে ঘাসে ঢাকা এক ফালি উঠোন পেরিয়ে বন্ধ দরজার সামনে হাজির হল রাজীব। দরজার ডানদিকের ফ্রেমে লাগানো কলিংবেলটিকে দেখতে একটু অন্যরকম লাগলেও নির্দ্বিধায় সেটিতে চাপ দিল। সুরেলা নয়, বরং একটু বেশী রকম কর্কশ শব্দে রাজীব অবাক হলেও, চমকে উঠল না।

     কলিং বেলের শব্দ থামার পরে, বাড়ির মধ্যে থেকে বয়স্ক মহিলার ক্ষীণ গলা শোনা গেল, কে? কে বেল বাজাল?

    আমি । বলে রাজীব একটু থামল, নাম বললে চিনতে পারবেন না।

    এবার কম বয়সী একটি মেয়ের গলা ভেসে এল, দাঁড়ান। আসছি।

    দরজা খুলল একটি কিশোরী মেয়ে। রাজীবের মুখের দিকে চেয়ে বলল, আপনি ?

  হেলথ সেন্টার থেকে আসছি। রাজীব বলল, সুশান্তবাবু ফোন করে আমাকে আসতে বলেছেন।

   মেয়েটি অস্ফুটে ওঃ! বলে দরজার পাশে সরে দাঁড়াল। আসুন। তার আগে লোহার গেটটা একটু বন্ধ করে দিয়ে আসুন।

   রাজীব পিছন ফিরে তাকাল। অন্যমনস্কতায় সে লোহার গেটটিকে হাট করে খুলে রেখে এসেছে। উঠোন পেরিয়ে রাজীব লোহার গেটটি বন্ধ করে দিয়ে এল। 

     জুতো জোড়া কি দরজার বাইরেই খুলে রাখব ? রাজীব কিশোরীকে জিজ্ঞেস করল।

    হ্যাঁ, তাই রাখুন। মোজা খোলার দরকার নেই।

    কিশোরী ছিটকিনি তুলে দরজা বন্ধ করল।

   পেসেন্ট কোথায় আছে ? রাজীব জিজ্ঞেস করল কিশোরীকে।

    মানে ?

    মানে, রোগী কোথায় আছে ?

    আপনি দিদার কথা জিজ্ঞেস করছেন ?

   দিদা, ঠাকুমা জানি না। রাজীব বিরক্ত বোধ করল, একজন বয়স্ক মহিলা, যিনি অসুস্থ হয়েছেন। বোঝা গেল ?

  আমি তো তাই বলছি, কিশোরীর গলার স্বরে অল্প ঝাঁঝ, দিদা ওপরের ঘরে আছে। আপনাকে দোতলায় যেতে হবে। আপনি কি ডাক্তারবাবু ? দিদাকে দেখতে এসেছেন ? আপনাকে কে কল দিল ?

    রাজীবের রেগে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে রাগল না। সে বুঝতে পারল, কিশোরীর প্রশ্ন করার মধ্যে নির্ভেজাল সরলতা রয়েছে।

    বললাম না, সুশান্তবাবু ফোন করে ডেকেছেন। বলে রাজীব কিশোরীর মুখের দিকে চেয়ে হেসে বলল, ডাক্তারবাবুর মতো দেখতে না হলেও, অন্য কোনওরকম, মানে চোর ডাকাত বলে মনে হচ্ছে না তো ?

    কিশোরী লজ্জা পেল, ধ্যাৎ! আমি কি তাই বলেছি ?

    কথা শেষ করেই দ্রুতপায়ে কয়েক ধাপ সিঁড়ি টপকে উঠে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। হাত বাড়িয়ে রাজীবকে ডাকল, কী হল ? আসুন।

    দোতলার সিঁড়ি শেষ হয়েছে যেখানে সেখানে একটি গ্রীলঘেরা বারান্দা। বারান্দার কোল ঘেঁসে পাশাপাশি দুটি ঘর। একটি ঘরের দরজা বন্ধ। অন্যটির খোলা। রাজীব খোলা দরজাটির দিকে ঘাড় ঝুঁকিয়ে তাকাতেই, কিশোরী বলে উঠল, দিদা পাশের ঘরে আছে।

    সে বন্ধ দরজাটি খুলতে যাচ্ছিল, রাজীব হাতের ইশারায় তাকে থামতে বলল। জিজ্ঞাসু চোখে এদিক ওদিক চেয়ে বলল, আগে ঐ ভদ্রলোক, মানে সুশান্তবাবুকে ডাকো, যিনি ফোন করে আমাকে এখানে আসতে বলেছেন।

    কার কথা বলছেন ? মামা ? মামা তো বাড়ি নেই। এক হপ্তা হলো এ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। মামা মামী আর ওদের ছেলে, উত্তরপাড়ায় মামীর বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

    কিন্তু উনি যে বললেন ওনার মা এ বাড়িতে ...

    হ্যাঁ ঠিকই বলেছে। রাজীবকে থামিয়ে দিল কিশোরী, এখন দিদা আর আমি এ বাড়িতে আছি।

    তুমি একা! সাতদিন! রাজীব অপলক কয়েক মুহূর্ত কিশোরীর মুখের দিকে চেয়ে থেকে বলল, কে হও তুমি এদের ?

    কিশোরী মাথা নাড়িয়ে বলল, কেউ না। আমি এ বাড়িতে কাজ করি। থাকা খাওয়ার কাজ। সাত আট বছর হয়ে গেল।

    তোমার দেশের বাড়ি কোথায় ?

    সুন্দরবন, ঝড়খালি। গ্রামের নাম হাট গোবিন্দপুর।

    কে আছে সে বাড়িতে ?

    বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই আছে। বুড়ি ঠাকুমা আছে। সে অবশ্য বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না। এ বাড়ির দিদার মতো।

    তুমি দেশের বাড়ি যাও না ?

    হ্যাঁ। বছরে একবার-দুবার যাই। গত মঙ্গলবারে বাবা আমাকে ফোন করেছিল, নিতে আসবে বলে। চারদিকে যে অসুখটা হচ্ছে, বাবা বলছিল এখন শহরে থাকার চেয়ে গ্রামে থাকাটাই ভাল। একটু চুপ করে থেকে কিশোরী বলল, আমি বাবাকে বারণ করে দিলাম। এখন আসতে হবে না।

    রাজীব বলল, কেন ?

    বারে!  দিদাকে একা ফেলে রেখে চলে যাব ? যে মানুষটা দিনরাত বিছানায় শুয়ে আছে, নিজে থেকে পাশ ফিরতে পারে না। চোখে সব ঝাপসা দেখে...

    রাজীব লক্ষ্য করল কিশোরীর দুচোখে জলের আবছা ছাপ, মাথা নামিয়ে ধরা গলায় বলল, আমার ঠাকুমার অবস্থাও দিদার মতোই। কিন্তু সেখানে তো আমার বাবা আছে, মা আছে, আর এখানে ... !

    রাজীব কিশোরীর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিল, দিদাকে নিয়ে একা থাকতে তোমার ভয় করছে না ?

    না। আমি মামা মামীর মতো ভীতু নই। জানেন তো, ওরা দুজনে শুধু ভীতুই নয়, কেমন যেন!  দিদার কী কষ্ট হচ্ছে শুনে এ ওর মুখের দিকে এমন ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল। দুজনের চোখমুখের চেহারা যদি তখন দেখতেন, ভয়ে সাদা কাগজের মতো হয়ে গেছে।

    রাজীব কিশোরীকে বলল, দিদার ঘরে ঢাকার আগে রুমাল বা ঐ জাতীয় কিছু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে নেবে।

    আমি তেমনটাই করি।

    হুটপাট ঘরের মধ্যে ঢুকবে না।

    কিশোরী মাথা দুলিয়ে জানাল, না।

    তোমার দিদা কি এখন ঘুমোচ্ছেন ?

    মনে হয় না।

    আমারও তেমনটাই মনে হচ্ছে, রাজীব বলল, বেল বাজানো মাত্রই উনিই প্রথম সাড়া দিয়েছিলেন 'কে' বলে। তাই না ?

    এই ক'দিনে দিদা যে কতবার 'কে' বলে সাড়া দিয়েছে, কিশোরীর গলায় ভেজা ভেজা ভাব, কতবার যে আমায় বলেছে, দোতলার বারান্দা থেকে গলা বাড়িয়ে দেখনা, তোর মামার গাড়িটা গলিতে ঢুকল কিনা!

    উনি জানেন, ছেলে-বউ-নাতি সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে ? রাজীব জিজ্ঞেস করল। 

    কিশোরী অস্ফুট জবাব দিল, হুঁ।

    তাহলে ?

   রোজ প্রতি মুহূর্তে ভাবে, মামা বুঝি ফিরে এল। আমার কী মনে হয় জানেন! কিশোরী রাজীবের মুখের দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকাল।

    রাজীব উদগ্রীবগলায় বলল, কী ? কী মনে হয় তোমার ?

   মামা যদি ফিরে এসে একবার 'মা' বলে ডাকে, দিদার অর্ধেক রোগ ভাল হয়ে যাবে। চোখে তো দেখতে পায় না। মামার গলাটা শুনলে দিদা চাঙ্গা হয়ে যাবে। আমি বলছি বিশ্বাস করুন, ঠিক এমনটাই হবে।

    রাজীব কিশোরীর কথায় কোন জবাব দিল না। প্যান্টের পকেট থেকে রুমাল বার করে কপালটা মুছল। আঙ্গুলের আলতো টোকা দিয়ে চশমাটাকে সামান্য এদিক ওদিক করল। হাত ঘড়িতে সময় দেখল।

    তারপর বলল, ঘরের দরজাটা খোল। ভেতরে যাব।

    কিশোরী ঘরের দরজাটা খুলল। রাজীব তখনও চৌকাঠ পেরিয়ে ঘরের মধ্যে পা রাখেনি। বৃদ্ধা ডাকলেন, কে ? কে এলে ?

    আমি। কিশোরী সাড়া দিল।

    মনে হচ্ছে যেন তোর সঙ্গে আরও একজন কেউ আছে।

    আছে তো। বলে কিশোরী খিলখিল করে হেসে উঠল।

    হাসছিস কেন ?

    বলো ? আন্দাজ করো, কে হতে পারে ! 

    তবে কি সন্তু এলি ? বলনা কৃষ্ণা, আমি কি ঠিক বলছি, সন্তু এসেছে? বল না?

  কিশোরী কৃষ্ণাকে মনে হল, মুহূর্তে যেন কেমন বেসামাল হয়ে পড়েছে। শূন্য চোখে রাজীবের মুখের দিকে চেয়ে কী যেন বলতে যাচ্ছিল। রাজীব নিজের ঠোঁটের ওপর আঙ্গুল রেখে ইশারায় কৃষ্ণাকে চুপ করে থাকতে বলল। তারপর ধীর পায়ে বৃদ্ধার বিছানার দিকে কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে চাপা গলায় অস্ফুটে বলল, কেমন আছ, মা ?

   বৃদ্ধার শরীরটা থরথর করে কেঁপে উঠল। দুচোখের কোণ বেয়ে জলের ধারা নেমে এল। কান্না জড়ানো গলায় বলল, ভাল আছি। তুই কেমন আছিস সন্তু ? বৌমা ? দাদুভাই ?

    রাজীব সহজ গলায় উত্তর দিল, ভাল।

    কৃষ্ণা বৃদ্ধার চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলল, আর কোন চিন্তা নেই তো ?

    বৃদ্ধা লম্বা করে শ্বাস ফেলে বলল, না।

   কৃষ্ণা রাজীবকে এগিয়ে দিতে ঘাসে ঢাকা উঠোন পেরিয়ে লোহার গেট অব্দি এল।

রাজীব বলল, আপাতত ভয় পাওয়ার মতো কিছু মনে হলো না। তবে আরও কয়েকটা দিন দেখতে হবে।

    আপনি আবার আসবেন তো ? কৃষ্ণা জিজ্ঞেস করল।

নিশ্চয়ই। দু-তিন দিনের মধ্যেই আসব। এখন সন্তুর আসাটা খুবই জরুরী, তাই না ? বলে রাজীব হাসল।

    ঠিক বলেছেন। কৃষ্ণার গলায় খুশি ঝড়ে পড়ল।

    কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে রাজীব দাঁড়িয়ে পড়ে পিছন ফিরে তাকাল। কৃষ্ণা তখনও লোহার গেটটি ধরে দাঁড়িয়ে।

    রাজীব ঘার কাত করে হাসল। তারপর বিদায় নেওয়ার ভঙ্গিতে হাত নাড়ল।

  কৃষ্ণার মন বলছে দু-তিনদিন নয়। এই নতুন মামা কালকেই আসবে। তারপরের দিন, তারপরের দিনও আসবে। ঠিক, ঠিক আসবেই।   🚫


আপনার মতামত নিচে 
'আপনার মন্তব্য লিখুন' শীর্ষক বক্সে লিখে 
আমাদের জানান। 
লিটল ম্যাগাজিন বেঁচে থাকে 
পাঠকদের মতামতে। 🙏


বিমল গঙ্গোপাধ্যায়।। ছবি - সাইন্যাপস্‌ পত্রিকা

লেখক পরিচিতি

চুঁচুড়ায় আমরা নয়ের দশকের শেষদিকে যখন গল্পজীবন যাপন করতে শুরু করেছি তখন আমরা আমাদের সামনে পেয়েছি গল্পকার বিমল গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিমল গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিকাংশ গল্পই লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। যার জন্য ২০১৬ সালে বাংলা ছোটগল্পের জন্য সর্বভারতীয় পুরস্কার তিনি গ্রহণ করেছেন কলকাতার লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে। বিমল গঙ্গোপাধ্যায় শুধু অসামান্য গল্পকার নন তার গল্পপাঠও অসামান্য। তার গল্পের চরিত্রগুলি আমাদের বোধের মধ্যে নড়াচড়া করে, কথা বলে। গল্পের ক্ষেত্রে বিমলদা কোনোদিনই উপরিতলে সাঁতার কাটেন না, তিনি পাঠকে নামিয়ে আনেন অতলে, গভীরে আর সেই অবগাহনে আমাদের পাঠকসত্তা তৃপ্তিলাভ করে। আমাদের সৌভাগ্য আমাদের গল্পচর্চাকালে, আমাদের হাতের কাছেই একজন শক্তিশালী গল্পকারকে পেয়েছিলাম। শুধু গল্পচর্চা নয়, এই জনপদের সাংস্কৃতিক চর্চাতেও তার নীরব অবদান ভোলার নয়।

জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪, চুঁচুড়ায়। সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। 
উল্লেখ্যোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা

অনাদি পুরস্কার, চন্দননগর গল্পমেলা, ১৯৯৬
কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক লিপি সরকার নিবেদিত 
ছোট গল্পকার সম্মাননা ২০১৬
মুম্বাই থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা মায়ামেঘ কর্তৃক সারা ভারত বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ২০১৪ এবং ২০১৭
 সাইন্যাপস্ পত্রিকা স্মারক সম্মাননা ২০১৮
আজকের অনুভব পত্রিকার সারস্বত সম্মান ২০১৯

বিমল গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পগ্রন্থের তালিকা

(এখনো পর্যন্ত সাতটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত এবং একটি উপন্যাস)
১. জায়মান 
প্রকাশ : বইমেলা ১৯৯৬
প্রকাশক : দিবা রাত্রির কাব্যের পক্ষে আফিফ্ ফুয়াদ
উৎসর্গ : বাবাকে স্মরণে মাকে শ্রদ্ধায়
১৩০ পৃষ্ঠা, হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। মূল্য তিরিশ টাকা।
প্রচ্ছদ : চন্দন বসু।
সংকলিত গল্প - ১৬ টি।
দর্পণে মুখ, কাঁটা, মারাদোনা মারাদোনা, বোধন, উড়ো খই, গণতান্ত্রিক অভিরাম, যোগ বিয়োগ, মেঘ জ্যোৎস্নার খেলা, বন্ধ দুয়ার, দরজা যখন খোলা, প্রাণে প্রাণ, সমান্তরাল, সান্ত ও অনন্ত, শিকড়, জায়মান, শীত।

২. আড়াল থেকে
প্রকাশ : ৪ জুন ২০০০
প্রকাশক : দিনান্তের অন্বেষণ
উৎসর্গ : শ্রীরামকৃষ্ণ, আবহমানের অনুপম কথাকার
৬৮ পৃষ্ঠা, পাতলা বোর্ড বাঁধাই। মূল্য কুড়ি টাকা।
প্রচ্ছদ : মুনিকেশ শীল
সংকলিত গল্প - ১০ টি
 আড়াল, মুখোমুখি, দ্রোণাচার্য, জগদ্ধাত্রী, ওপরওয়ালা, গরীয়িসী, ছেঁড়া চাঁদোয়ার নিচে, ক্ষরণ, নো ম্যানস্ ল্যান্ড, মহীরুহ।

৩. পিঞ্জরে বসিয়া নহে
প্রকাশ : জুন ২০০৪
উৎসর্গ : আমার মা বেলা গঙ্গোপাধ্যায়-কে
১২৮ পৃষ্ঠা, হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। মূল্য চল্লিশ টাকা।
প্রচ্ছদ : মুনিকেশ শীল।
সংকলিত গল্প - ১৪ টি
শেষের রাত্রি অথবা রাত্রি শেষের গল্প, অন্তরালের কুশীলব, নতুন লড়াই, যখন বৃষ্টি, বিহঙ্গ, অস্তরাগ, পিঞ্জরে বসিয়া নহে, জীবন জিজ্ঞাসা অথবা পরবৈরাগ্য, অমাবস্যার চাঁদ, হঠাৎ একদিন, আদালত চলছে, ঘা, কৃষ্ণকথা, অহংকার।

৪. প্রতীক পক্ষী
প্রকাশ : জুলাই ২০০৯
প্রকাশক : দিনান্তের অন্বেষণ
উৎসর্গ : 'প্রতীক পক্ষী'-র তোমাকে, যার করতলে আমার ভাগ্যরেখা
১৫২ পৃষ্ঠা, পেপারব্যাক। মূল্য আশি টাকা।
প্রচ্ছদ : মুনিকেশ শীল
সংকলিত গল্প - ১৫ টি
আমি এবং আমার স্বপ্নেরা, অবন্ধ্য, ছায়াসূর্য, চক্রব্যূহ, কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ, প্রতীক পক্ষী, আবিষ্কার, উদ্বর্তন, টানাপোড়েন, সম্ভাবনার ভোরে, অবনী, একটি ভোরের গল্প, সংশয়, গন্তব্য, নেপথ্যে।

৫. রোদ কুড়োনোর বেলা
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১৩
প্রকাশক : গল্পসল্পর আটচালার পক্ষে প্রশান্ত মাল
উৎসর্গ : দাদার সাহিত্যচর্চা ছিল যার একমাত্র অহংকার, প্রয়াত অনুজ উৎপলকে
১১২ পৃষ্ঠা, হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। মূল্য আশি টাকা।
প্রচ্ছদ : মুনিকেশ শীল
সংকলিত গল্প - ১৩ টি
অচিন মানুষ, একটি ঝড়ের অপেক্ষায়, স্বপ্ন নদীর পাড়ে, আলোর দরজা, মুক্ত অক্ষরমালা, উপকথা, অন্ধকার ও রৌদ্রকণাগুলি, হয়ত মুখোমুখি, যেতে পারি, বদহজম, নিবিড় আশ্রয়, রোদ কুড়োনোর বেলা, সেই অপাবৃতা।

৬. এই আঁধারে যথাযথ
প্রকাশ : অক্টোবর ২০১৫
প্রকাশক : গল্পসল্পর আটচালার পক্ষে প্রশান্ত মাল
উৎসর্গ : প্রণীত ঘটক ও উপায়ন গাঙ্গুলীকে।
১২০ পৃষ্ঠা, হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। মূল্য একশ টাকা।
প্রচ্ছদ : কেয়ার, অক্ষর বিন্যাস যারা করেছেন।
সংকলিত গল্প - ১২ টি
শেষ পারানি, খেলা অথবা খেলা, সকালের ফুল, বিপন্নতা, শান্তনুর স্বর্গ, সংলাপ, আলো আরও আলো, তুমি আসবে বলে, অসমাপ্ত, এই আঁধারে যথাযথ, আমি ও আমার ক্যানভাস, ঢেউয়ের সামনে দাঁডিয়ে।
এছাড়া বহু গল্প প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যেগুলি অগ্রন্থিত।

৭. জানালা
প্রকাশ : এপ্রিল ২০২১
প্রকাশক : গল্পসল্পর আটচালার পক্ষে সুব্রত বসু
উৎসর্গ : ঋক ও তিন্নিকে।
১.৭৬ পৃষ্ঠা, পেপারব্যাক। মূল্য ১৫০ টাকা।র
অক্ষর বিন্যাস - কেয়ার
প্রচ্ছদ : সুদীপ্ত ভট্টাচার্য
সংকলিত গল্প - ১২ টি
হাইট, ফেরা, অমল জ্যোৎস্নাধারায়, হিমছুরি, অপেক্ষা, ঊষাকাল, এই আকাশ অন্য আকাশ,
পাখিমন, অপূর্ব যাত্রা, একা বারান্দায়, ঘর, জানালা।
........................................................

প্রকাশিত উপন্যাস

১. চরাচর
প্রকাশ : জুলাই ২০০৭
প্রকাশক : দিনান্তের অন্বেষণ
উৎসর্গ :মা সারদা, সংস্কারমুক্ত অকুতোভয় অসামান্যা নারী
৩৪৮ পাতা, পেপারব্যাক। মূল্য একশ টাকা।
প্রচ্ছদ : মুনিকেশ শীল
উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে দিনান্তের অন্বেষণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। দিনান্তের অন্বেষণ তখন প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত হত।

২. মন্থনকাল
প্রকাশ : নভেম্বর ২০১৯
প্রকাশক : গল্পসল্পর আটচালার পক্ষে সুব্রত বসু
উৎসর্গ : আমার বোন ও ভগ্নীপতি শ্যামলী ও প্রদ্র্যোৎকে
১৬০ পাতা, পেপারব্যাক। মূল্য ১২০ টাকা।
প্রচ্ছদ : আন্তর্জাল
উপন্যাসটি শারদ নন্দন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। 
........................................................

অন্য ভাষায় অনুদিত গল্প।
ওড়িয়া বেশ কয়েকটি গল্প অনুদিত হয়েছে।
কাঁটা (বাণীধ্বনি পত্রিকা)
প্রতীক পক্ষী (শিলালিপি পত্রিকা)
ছায়াসূর্য (সারস্বত সারাংশ)
একটি ঝড়ের অপেক্ষায় (সাহিত্য দর্পণ)
আমি ও আমার ক্যানভাস (সারস্বত সারাংশ)

হিন্দিতে একটি গল্প মধ্যপ্রদেশ সাহিত্য আকাদেমি কর্তৃক অনুদিত হয়ে 'সাক্ষাৎকার' পত্রিকায় প্রকাশিত। গল্পের নাম - আমি ও আমার ক্যানভাস। 
.........................................

গল্পের নাট্যরূপ
(শ্রুতিনাটক হিসাবে পরিবেশিত হয়েছে একাধিকবার)
কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ (নাট্যরূপ অঞ্জন বাগচী)
জ্যোতির্ময়ী (নাট্যরূপ অঞ্জন বাগচী)
অস্তরাগ (নাট্যরূপ অঞ্জন বাগচী)
খেলা অথবা খেলা (নাট্যরূপ বিশ্বনাথ পাকড়াশি)
অচিন মানুষ (নাট্যরূপ অচিন বাগচি)
এই আঁধারে যথাযথ (নাট্যরূপ তানিয়া চক্রবর্তী)
সেই অপাপবৃতা (নাট্যরূপ বিশ্বনাথ পাকড়াশি)
..........................................
গল্পের শর্ট ফ্লিমে রূপায়ন
রাজা ভৌমিকের পরিচালনায় যোগ বিয়োগ গল্প অবলম্বনে 'উত্তরণ'।
তথাগত মৌলিকের পরিচালনায় বিহঙ্গ গল্প অবলম্বনে 'স্বপ্ন নিয়ে'।
মুর্শিদ এমের পরিচালনায় জানালা গল্প অবলম্বনে 'জানালা'।

সাইন্যাপস্‌ পত্রিকা ওয়েবে প্রকাশিত,
SYNAPSE LIBRARY তে রাখা
অন্য গল্পগুলি পড়তে হলে ক্লিক করুন