কবি পরিচিতি - মাশা কালেকোর জন্ম হয়েছিল
১৯০৭ সালের ৭ই জুন বর্তমান পোল্যান্ডের গ্যালিসিয়া প্রদেশে এক ইহুদী বণিক পরিবারে। পারিবারিক নাম ছিল গোল্ডা
মাল্কা আউফেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তার পরিবার বার্লিনে চলে আসে। কাব্যখ্যাতির জন্য ১৯৩০
সালের মধ্যেই বার্লিনের বিদ্বৎসমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে ওঠেন মাশা কালেকো। ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত
প্রথম কবিতার বই ‘দাস লিরিশে স্টেনোগ্রামহেফ্ট্’। যা নাৎসিবাহিনীর বিষনজরে পড়ে। ১৯৩৮ সালে জার্মানি
ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি দেন মাশা। ১৯৫৬ সালে আবার ফিরে এলেন বার্লিন। ১৯৫৯ সালে চলে গেলেন
ইজ্রায়েল, তবে ইউরোপে যাওয়া আসা লেগে থাকতো। ১৯৭৫ সালের ২১শে জানুয়ারি
বার্লিন থেকে জেরুজালেম ফেরবার পথে জুরিখে তার দেহাবসান ঘটে।
![]() |
16th September 2020, Google Celebrating Mascha Kaléko. This Doodle, illustrated by Hamburg-based guest artist Ramona Ring, celebrates the German-Jewish poet Mascha Kaléko, whose incisive poems and chansons earned her notable acclaim among the literary avant-garde in 1930s Berlin. On this day in 1974, Kaléko held her final reading in Berlin’s America Memorial Library. |
হাওয়ায় ঝরা পাতা
হৃদস্পন্দন আমাকে শোনাও তুমি,
বন্ধ যে অর্গলে।
প্রিয়তম, আমি ভাষায় বোঝাতে পারিনা,
যে শক্তি আগে দিয়েছিলো বুঝি বেঁধে
যত ব্যথা আছে, পান করি চুম্বনে।
কোলে তুলে নিই যেন সে অবোধ শিশু।
ঝরা পাতা আমি, অবেলাতে ঝরে যাই।
একেলা কি সব ঠাঁই?
‘ব্লাট ইম ভিন্ড’ (Blatt im Wind) অবলম্বনে লেখা
প্রতীতি
এক বিন্দু প্রাণ।
জটিল এই প্রকৃতির চেয়েও শক্তিশালী
সরল মানুষ।
ভাবগম্ভীর তর্কবিতর্কের চেয়েও বিশ্রী
একটা হাস্যকর যুদ্ধ।
শ্বেতশুভ্র পারাবতের চেয়েও মূল্যবান
ধূসর শান্তি।
‘আনশাউং’ (Anschauung) অবলম্বনে লেখা
পরিপূরক ন্যায়বিচার
যে পথ আমার ভবিতব্য ছিল
সামনে যাবো ভেবেছিলাম আমি;
কিন্তু কী যে বিস্ময়ের কথা,
যে মণিহারে আমাকে সাজাবে,
বন্ধুজন সবাই ভেবেছিলো,
হারটি ছিঁড়ে পড়েছে এলোমেলো।
দুঃখ নিয়ে ভাবিনি কোনওকালে,
‘আউসগ্লাইশেন্ডে গেরেশ্টিশকাইট’ (Ausgleichende Gerechtigkeit) অবলম্বনে লেখা
অন্য কোথাও অপেক্ষাতে
কেটলিটা ওঠে হিসহিস করে আগুনেতে ফুটে ফুটে।
অন্য কোথাও, এখানে তো নয়, অন্য কোথাও যাবে
অন্দর থেকে বাইরে যাবার অপেক্ষা থাকে জেগে,
‘জেনজুখ্ট্ নাখ দেম আন্দেরস্ভো’ (Sehnsucht nach dem Anderswo) অবলম্বনে লেখা
জন্ম জুলাই, ১৯৭১, কলকাতায়। ২০০৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূবিদ্যায় পিএইচডি। গল্প, কবিতা লেখালেখি ছাড়াও ইংরেজি ও জার্মান ভাষা থেকে অনুবাদের কাজ বিশেষ পছন্দের। ২০১৬ সালে প্রকাশিত কবিতার বই ‘অরণ্যমেঘবন্ধুর দল’। ২০১৯ সালে সিরিয়ার কবি মারাম-আল-মাসরির কবিতার বাংলা অনুবাদের বই ‘শান্তি অন্তরিন’ প্রকাশিত হয়েছে।
1 মন্তব্যসমূহ
অনুবাদ করা কবিতাগুলো বেশ সুন্দর।
উত্তরমুছুন