সাইন্যাপস্‌ স্মারক সম্মাননা ২০২৪ 

সাইন্যাপস্‌ পত্রিকার মুদ্রিতরূপে পথ চলা শুরু ১৯৯৮ সাল থেকে। শুরু থেকে পত্রিকা কাজ করতে চেয়েছিল আঞ্চলিক ইতিহাস এবং আঞ্চলিক লেখকদের নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল কবিতা, অণুগল্প, অনুবাদ চর্চা। ‘সাইন্যাপস্‌ পত্রিকা স্মারক সম্মাননা’ আমরা শুরু করেছিলাম আমাদের দিক থেকে অঞ্চলের সাহিত্যিকদের কাজের প্রতি সাহিত্যজগতের এবং নতুন প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়ে। এর সঙ্গে আমাদের মনে হয়েছিল আমাদের দায়িত্ব শুধুমাত্র সম্মাননাটি দিয়েই শেষ হয়ে যায় না। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সেই সাহিত্যিকের সৃষ্টি নিয়ে একটি আলোচনার পরিবেশ গড়ে তোলাও আমাদের কাজ। যেখানে তার সৃষ্টি নিয়ে আমরা কিছু শুনব, কিছু বলব। সম্মাননা প্রাপ্ত সাহিত্যিক, তিনি খোলা এক পরিবেশে তার সৃষ্টি নিয়ে কথা বলতে পারবেন।

২০১৫ সালে প্রথম সাইন্যাপস্‌ পত্রিকা স্মারক সম্মাননা আমরা তুলে দিয়েছিলাম চুঁচুড়ার প্রখ্যাত গল্পকার, রাম রায়ের হাতে। তার পরে যাদের হাতে আমরা এই সম্মাননা তুলে দিয়ে আমরা ধন্য হয়েছি --

২০১৬ সমীর মুখোপাধ্যায়

২০১৭ তথাগত মৌলিক

২০১৮ বিমল গঙ্গোপাধ্যায়

২০১৯ অলোকরঞ্জন চক্রবর্তী

(করোনাকালে স্মারক সম্মাননা স্থগিত ছিল)

২০২৩ দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

 

২০২৪ সালে সাইন্যাপস্‌ স্মারক সম্মাননা-র প্রাপক

হুগলি বাঁশবেড়িয়ার সুপরিচিত কবি তারাপ্রসাদ সাঁতরা।

 

কবি তারাপ্রসাদ সাঁতরা

 

প্রত্যেক কবির এক নিজস্ব ভাষা থাকে। সেই নিজস্ব ভাষা তার উৎকর্ষ অনুসারে পাঠক অর্জন করে। কবি তারাপ্রসাদ সাঁতরার কাব্যভাষা সেই বিরল উদাহরণগুলির মধ্যে অন্যতম যেখানে ভাষা কেবল পাঠক অর্জনেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তা পাঠক-কে নতুনভাবে নির্মিত করে তোলে। তাই নিজস্ব মুদ্রাদোষে অনুচ্চকিত এই কবির কবিতা কয়েক দশক ধরে পেয়ে এসেছে তার পাঠকদের প্রতীক্ষার অর্ঘ্য। আমাদের আনন্দ তিনি সমকালের। আমাদের আনন্দ, পাঠক হিসাবে তাঁকে আবিষ্কার করার গৌরব অর্জনের। যে আনন্দ আগামীকালের পাঠকদের জন্যেও অক্ষুণ্ণ থাকবে নিশ্চিত। 

 

জন্ম ০১.১০.১৯৬৫, বাঁকুড়া জেলার ডিহা গ্রাম (জয়পুর থানা)। পিতা শক্তিপদ সাঁতরা, মা শ্রীমতী গীতা সাঁতরা।

শিক্ষাজীবন ডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়। কাঁটাগোড় ভগলদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়। রাজগ্রাম শশিভূষণ রাহা ইনস্টিটিউশন। রামানন্দ কলেজ, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া থেকে ইতিহাসে স্নাতক। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম এ।

কর্মজীবন কর্মসূত্রে ১৯৯১ সালে বাঁশবেড়িয়াতে (হুগলি জেলা) চলে আসা। যে বাঁশবেড়িয়া তখন ছিল শিল্পাঞ্চল। সেখানেই বাঁশবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা।

ব্যক্তি জীবন  স্ত্রী মনামী সাঁতরা। কন্যা অদ্রিজা সাঁতরা। শখ উদ্যানচর্চা এবং গান শোনা। প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ।

নব্বই দশক থেকে কবিতা চর্চায় নিয়মিত একটি নাম। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থেকে প্রকাশিত “অনামি” পত্রিকায়। ১৯৮৮ বা ১৯৮৯ সালে। বাঁশবেড়িয়া আসার পর সহকর্মী বিশ্বনাথ সরকারের (অর্চি পত্রিকার সম্পাদক) মাধ্যমে হুগলির সাহিত্যজগতের সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠা। তারপর ‘ইস্‌ক্রা’ পত্রিকার সম্পাদক প্রগতি মাইতির হাত ধরে কলকাতার সাহিত্যজগতে পা রাখা।

 

যে-সব পত্র পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে

 

কবি সম্মেলন, শতদল, সাহিত্য-সেতু, কবিপত্র, কৃষ্টি, সৃজন, অর্চি, সোনালী রোদ, সাইন্যাপস্‌, চতুষ্টয়, উদ্বোধন, গোধূলি মন, সমকাল ও বিবৃতি, নবাবী, শতানীক, ইচ্ছেকথা, সেই সন্দীপন, তথ্যকেন্দ্র, অবগুণ্ঠন, অন্যসাম্পান, পত্রী, উত্তরণ, উন্মুক্ত উচ্ছ্বাস, প্রকর্ষ, প্রতীতি, বিশ্ববাণী, রুদ্রকাল, গোপন আকাশ, এখন উচ্চারণ এবং অন্যান্য নানা পত্রিকায়।


পুরস্কার ও সম্মাননা 

 

বাংলাদেশ কবিতা সংসদ (পাবনা)-এর আহ্বানে ২০১৬-তে ‘আন্তর্জাতিক বাঙালি সাহিত্য সম্মেলন ১৪২৩-এ যোগদান করেন এবং পেয়েছেন ‘কবিতা সংসদ স্মারক সম্মাননা’, ‘পল্লী কবি জসীমউদ্দীন পদক’, ‘গঙ্গা গোবিন্দ স্মৃতি পুরস্কার’

২০১৬ সালে হুগলী জেলা কবিতা আকাদেমি থেকে পেয়েছেন ‘কবিতা আকাদেমি পুরস্কার’ ও ‘তানিয়া হাজরা স্মৃতি সম্মাননা’।

২০১৮ সালে গোধূলিমন পত্রিকা থেকে পেয়েছেন ‘মঞ্জুলা সরকার স্মৃতি পুরস্কার’।

২০২৩ সালে কোতুলপুর আবৃত্তিলোক থেকে পেয়েছেন ‘কবি সম্মাননা’।

২০২৫ সালে সাইন্যাপস্‌ পত্রিকা থেকে পেয়েছেন ‘সাইন্যাপস্‌ স্মারক সম্মাননা ২০২৪’।  

 

 

কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলি

 

কাব্যগ্রন্থ ।। খুঁজবো কোথায় তোমাকে

প্রকাশকাল ।। কলকাতা বইমেলা ২০০৩

প্রকাশক ।। ইস্‌ক্রা

প্রচ্ছদ ।। অনিমেষ সূত্রধর

 

মূল্য ৪০টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। উৎসর্গ - যাঁরা পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন/মাথার ওপর দিয়েছেন আকাশ/ সেই মা এবং বাবাকে।/ যারা অকৃত্রিম ভালোবাসায়- /ধরেছিল সোনালী শৈশব ও কৈশোর হাত/ সেই বন্ধুদের/ এবং যাঁরা আমার কবিতা পড়বেন/ ও পড়েছেন। ভূমিকা লিখেছিলেন পবিত্র মুখোপাধ্যায়। 

 

 

কাব্যগ্রন্থ ।। হলুদ পাতার ঘর

প্রকাশকাল ।। কলকাতা বইমেলা ২০০৫  

প্রকাশক ।। ইস্‌ক্রা

প্রচ্ছদ ।। অদীপ ঘোষ

 

মূল্য ৩৫ টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। উৎসর্গ - মনামীকে, /আর সেইসব নীলকণ্ঠদের/ যারা আলো আনতে গিয়ে/ আর ফেরেনি এবং ফিরেছে।

 

 

কাব্যগ্রন্থ ।। যদি বন্ধু হতে পারো

প্রকাশকাল ।। কলকাতা বইমেলা ২০০৭  

প্রকাশক ।। পত্রলেখা  

প্রচ্ছদ ।। রাজেন্দ্র আশ


মূল্য ৪০ টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। উৎসর্গ - সেইসব প্রিয়মুখ/ যাদের বুক ছুঁইয়ে শুয়ে আছে নদী/ যাদের নদীস্রোতে কুড়িয়েছি মায়াবী মোহর/ দেখেছি চোখের পাতায়/ পরিযায়ী পাখিদের অফুরন্ত নীল আকাশ।



কাব্যগ্রন্থ ।। এসো বৃষ্টিমেঘ এসো রোদ্দুর

প্রকাশকাল ।। কলকাতা বইমেলা ২০১০   

প্রকাশক ।। পত্রলেখা  

প্রচ্ছদ ।। চঞ্চল গুঁই 

 

মূল্য ৬০টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। উৎসর্গ - তোমরা যারা আপন ভাবো/ তাদের জন্য/ কিম্বা পর/ তোমরা যারা নীরব থাকো/ সকল খেলায়/ তাদের জন্য।


 

কাব্যগ্রন্থ ।। ছুঁয়ে আছি অপরূপ তোমাকে

প্রকাশকাল ।। কলকাতা বইমেলা ২০১৫    

প্রকাশক ।। পত্রলেখা  

প্রচ্ছদ ।। চঞ্চল গুঁই


মূল্য ৮০ টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪। উৎসর্গ - যে সৎ, যে সুন্দর/ যে পেয়েছে পথ/ তার জন্য।/ যে হারিয়েছে নিজেকে দুর্বিপাকে/ যার খোঁজ এখনো নিরন্তর/ তাদের জন্য।



কবিতা সংগ্রহ ১

প্রকাশকাল ।। ২০২৩

প্রকাশক ।। পত্রলেখা  

প্রচ্ছদ ।। চঞ্চল গুঁই


মূল্য ৬০০ টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৬৮। উৎসর্গ - অদ্রিজাকে, অন্তরীপকে। ভূমিকা - অরুণ মুখোপাধ্যায়।



কবিতা সংগ্রহ ২  

প্রকাশকাল ।। ২০২৩

প্রকাশক ।। এবং অধ্যায়   

প্রচ্ছদ ।। দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায়


মূল্য ৪৯৯। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩২০ উৎসর্গ - মনামীকে। ভূমিকা - রামকিশোর ভট্টাচার্য।





নিজস্ব একান্ত জীবনজিজ্ঞাসা নিয়ে দু’টি বই আছে -

 

আত্মবোধ

প্রকাশকাল ।। ২০১৮  

প্রকাশক ।। পত্রলেখা  

প্রচ্ছদ ।। সুমন্ত্র ব্যানার্জি


মূল্য ১২০ টাকা। হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮০। উৎসর্গ - পরমপূজ্য মাবাবা, আত্মজ্ঞানী গুরুদেব এবং সত্য সাধন পথের সকল পথিককে।

পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ অগস্ট ২০১৮, প্রচ্ছদ সুমন্ত ব্যানার্জী। মূল্য ২৫০ টাকা। পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৬৮


মহাজীবনের সন্ধানে  

প্রকাশকাল ।। ২০১৯   

প্রকাশক ।। পত্রলেখা  

প্রচ্ছদ ।। চঞ্চল গুঁই

 

মূল্য ৩০০ টাকা। পেপারব্যাক। পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৮৪। উৎসর্গ - সাধনার প্রতিটি পদক্ষেপে স্থির ধ্রুবকের মতো মনামীকে।

 

নানা অনুষ্ঠানে কবির উপস্থিতি --







।। আমন্ত্রণলিপি।।

 

।। মানপত্র ।।

সাইন্যাপস্পত্রিকা স্মারক সম্মাননা ২০২৪

 

কবি তারাপ্রসাদ সাঁতরা সমীপেষু

 

আছি টেরাকোটা শিল্পের মতন বিমুগ্ধ আদলে

 

প্রিয় কবি, একদা কর্মসূত্রে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আপনি এসেছিলেন বাঁশবেড়িয়া শিল্পাঞ্চলে তারপর এখানেই বসত এবং দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিরবিচ্ছিন্ন কবিতাচর্চা। আপনার কবিতা আমাদের বলে, আপনার শিকড় প্রোথিত ছিল এবং আছে গ্রামবাংলায়। আপনার কবিতা আমাদের বলে, শিল্পাঞ্চলে আসার পর আপনার শিকড়ে পড়া তীব্র টান ও ব্যথার কথা। আপনার কলম বলে, “এভাবে কারো চলে যেতে ইচ্ছা হয় না/ ফসলের গন্ধ থেকে/ প্রিয় ফুল থেকে।” সেই সময় আপনি ছিলেন এই সোনার শহরে এক পরিযায়ী পাখি। অথচ এই সোনার আবরণের আড়ালে যা কিছু ঘটমান তা ধরা পড়ে গিয়েছিল আপনার কলমের কাছে। আপনার কলম লিখেছিল, “বদ্ধ নগরীর শ্বাস নিতে নিতে ক্লান্ত তুমি,/তোমার নির্মাণ নেই - আছে দুঃস্বপ্নের রাত্রি.../আরব্য রজনীর কটা গল্পই বা তুমি জান -/কটাদিন কাটাতে পারো ভাবনাহীন জীবন?”

         

 না, আপনি ভাবনাহীন জীবনযাপন করে ভাবনাহীন, ভণিতাসর্বস্ব কবিতার প্রচারক হয়ে উঠতে পারেননি। বিপরীতে আপনার কবিতা সেই জাদুকরদের কথা বলেছে, যাদের পিঠে একজোড়া শকুনের ডানা। যাদের চোখের আগুনে আর নিঃশ্বাসে পাথর হয়ে যায় পথিক। আবার এর মাঝেই আমাদের এই অঞ্চল, তার দীর্ঘ ইতিহাস, তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আপনার মনে রেখাপাত করল। আপনার ইচ্ছার সুবর্ণ মাঠে বন্ধু খুঁজলেন আপনি, এই জনপদ আপনাকে হতাশ করেনি। আপনার পল্লবিত শাখা-প্রশাখা ধারণ করল আমাদের জনপদ। 

  

আর্থ-সামাজিক পটভূমি সচেতন আপনার মন দেখতে পেল, সর্বগ্রাসী সেই অন্ধকারকে যার কবল থেকে গ্রাম বা শহর কারো নিস্তার নেই। আপনার কলম একদিন লিখে ফেলল এক সত্য, “আমরা যা চেয়েছিলাম - সেই গ্রাম/উঠে আসছে শহরের দিকে/আর শহর উঠে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে” তবুও আপনার কলম আমাদের বলল, “স্বপ্ন যদি না থাকে/তবে মানুষ ঘরে ফিরবে কী করে?”  আর আপনার কবিতায় প্রতীক হয়ে বার বার উঠে আসল নদী, গাছ এবং পাখি। “একটি গাছের মতো হৃদয় দাও/অঙ্গে থাক সবুজ পাতার বিস্ময়/একটি নদীর মতো গতি/বুক জুড়ে আলতো ঢেউ”। 

  

প্রিয় কবি, আমাদের সামনে উপস্থিত হল, এক কাব্যভাষা যা শুধুমাত্র পাঠক অর্জনেই সীমাবদ্ধ রইল না। তা পাঠক হিসাবে আমাদের নতুনভাবে নির্মিত করে তুলল। আপনার কবিতায় প্রতিবাদ, প্রকৃতি, ইতিহাসবোধ, পৌরাণিক উপাদান, আঞ্চলিকতা, জীবনদর্শন, ভালোবাসা, শোক-দুঃখ সবকিছুই উঠে এসেছে সহজ, সরল, নান্দনিক প্রত্যয়ের সঙ্গে। 

 

প্রিয় কবি, আমাদের আনন্দ, আপনি সমকালের। আপনাকে পেয়েছি আমরা। প্রিয় কবি, সাইন্যাপস্‌ পত্রিকা এই জনপদের পক্ষ থেকে আজ আপনাকে সম্মাননা প্রদানের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত ও ধন্য


শ্রদ্ধায় ও শুভেচ্ছায়

সাইন্যাপস্পত্রিকা

www.synapsepatrika.com

ষষ্ঠীতলা, ধরমপুর, চুঁচুড়া

২৭ মে ২০২৫

কিশোর প্রগতি সংঘ গ্রন্থাগারের সভাকক্ষ

কামারপাড়া, চুঁচুড়া



 সাইন্যাপস্‌ পত্রিকায় পূর্বে প্রকাশিত কবির কবিতাগুচ্ছ ক্লিক করলে পড়াযাবে