(97)
How like a winter hath my absence been
From thee, the pleasure of the fleeting year!
What freezings have I felt, what dark days seen!
What old December's bareness every where!
And yet this time removed was summer's time,
The teeming autumn big with rich increase,
Bearing the wanton burthen of the prime,
Like widowed wombs after theri lord's decease:
Yet this abundant issue seem'd to me
But hope of orphans, and unfathered fruit,
For summer and his pleasures wait on thee,
And thou away, the very birds are mute;
Or if they sing, 'tis with so dull a cheer
That leaves look pale, dreading the winter's near.
(৯৭)
কী তীব্র শীতের মতো তুমিহীন বিরহ আমার
যে তুমি আনন্দরূপ অতিক্ষিপ্রগতি বছরের
অনুভবে কী যে হিম, দিনমান কী যে অন্ধকার
কত শূন্য চরাচর যেন বৃদ্ধ অগ্রহায়ণের
তবুও বসন্তু ছিল বিচ্ছেদের সেই দিনক্ষণ
হেমন্তিকা গর্ভবতী সুবিপুল সৃষ্টিতে উর্বর
উদ্দাম সে যৌবনের গুরুভার করছে বহন
বিধবাগর্ভের মতো — স্বামীদের দেহান্তের পর
এইসব প্রাচুর্যকে ভাবনায় তবু মনে হতো
অনাথের আশা মাত্র, মনে হতো পিতৃহীন ফল
বসন্ত ও আনন্দ যে তোমারই সেবায় ছিল রত
তুমি দূরে তাই মূক পাখিদেরও নেই কোলাহল
যদিও বা গায় ওরা গায় ঢিমে আনন্দের সুরে
পান্ডুবর্ণ যত পাতা ভীতত্রস্ত শীত যে অদূরে।
(98)
From you have I been absent in the spring,
When proud-pied April (dressed in all his trim)
Hath put a spirit of youth in every thing,
That heavy Saturn laughed and leapt with him.
Yet nor the lays of birds, nor the sweet smell
Of different flowers in odour and in hue,
Could make me any summer's story tell,
Or from their proud lap pluck them where they grew:
Nor did I wonder at the lily's white,
Nor praise the deep vermilion in the rose;
They were but sweet, but figures of delight,
Drawn after you, you pattern of all those.
Yet seemed it winter still, and, you away,
As with your shadow I with these did play.
(৯৮)
তোমার সান্নিধ্য থেকে যে বসন্তে গেছি আমি মরে
ফাল্গুন গর্বিতবর্ণা দ্যুতিময় বাহারী পোশাকে
দিয়েছিল সব কিছু যৌবনের উৎসাহে সরে
রাশভারী বৃদ্ধ শনি নৃত্যরঙ্গ পেয়েছিল তাকে
তবুও পারেনি সেই কাকলি বা সুমধুর ঘ্রাণ
সেইসব ফুলেদের গন্ধে বর্ণে যাদের ভিন্নতা
আমায় বলিয়ে নিতে বসন্তের কোনো উপাখ্যান
অথবা ছেঁড়াতে ফুল দর্পী কোলে যা ফোটাল লতা
শ্বেতশ্রুভ্র লিলি মন ভরায়নি সামান্য বিস্ময়ে
করিনি সুখ্যাতি গাঢ় সিঁদুরকে কোনো গোলাপের
ওরা শুধু ফুটেছিল আনন্দের স্নিগ্ধ রূপ হয়ে
তোমারই আদলে আঁকা প্রতিমান তুমি সকলের
তবুও তখনো শীত আর তুমি ছিলে যতদূরে
ওরা তো তোমারই ছায়া খেলেছি
ওদের পাশে ঘুরে।(ক্রমশ)
সাইন্যাপস্ পত্রিকার ওয়েব সংখ্যায় এর আগে প্রকাশিত সনেটগুলির অনুবাদ পড়তে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে 👇
অনুবাদক পরিচিতি
ইংরাজি সাহিত্যের প্রাক্তন অধ্যাপক। বিশিষ্ট কবি এবং অনুবাদক। দীর্ঘকাল ধরে শেক্সপীয়রের সনেটগুলির অনুবাদ করে চলেছেন। সাইন্যাপস্ পত্রিকাতেই প্রথম প্রকাশিত হয় সনেটের এই অনুবাদ্গুলি। 'সাইন্যাপস্ পত্রিকা' তখন 'সাইন্যাপস্' নামে মুদ্রিত হত। সেই সাইন্যাপস্ পত্রিকার ১৯৯৯ সালের জুলাই সংখ্যাটি থেকে সনেটগুলির অনুবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে এবং এখনো হয়ে চলেছে। এরই মধ্যে ২০০৫ সালে প্রথম থেকে ৫২ তম সনেটের অনুবাদ 'শেক্সপীয়রের সনেট' এই নামে গ্রন্থিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি উপলব্ধ নেই।
শ্রী বিনয়েন্দ্র নাথ রায় ধারাবাহিকভাবে অনুদিত সনেটগুলির পরিমার্জনাও করে চলেছেন। যার ফলে পত্রিকায় প্রকাশিত সনেটগুলির পরিবর্তবন ঘটেছে গ্রন্থে আবার গ্রন্থের সনেটগুলিও পুনরায় পরিমার্জিত হয়েছে। সাইন্যাপস্ পত্রিকা সেইজন্য সনেটগুলির ক্রম শেষ হলে আবার প্রথম সনেট থেকে প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
আপনার মতামত নিচে
'আপনার মন্তব্য লিখুন' শীর্ষক বক্সে লিখে
আমাদের জানান।
লিটল ম্যাগাজিন বেঁচে থাকে
পাঠকদের মতামতে। 🙏
0 মন্তব্যসমূহ