- - - পা ঠ প্র তি ক্রি য়া - - - |
গল্প সংগ্রহ
বীরেন শাসমল
প্রকাশক – এবং মুশায়েরা
প্রথম প্রকাশ - অক্টোবর ২০২২
ISBN 978-93-93516-01-5
মূল্য – ৫৫০/-
৫৫২ পৃষ্ঠা, হার্ড বোর্ড বাইন্ডিং
সৌদামিনী নির্ঝঞ্ঝাট, নরম মনের মেয়ে। পেছুটান নেই। বিয়ে করেনি। বাচ্চা কাচ্চা নেই। কলকাতায় এসেছে কাজে। গুড্ডুকে দেখাশোনার কাজ। গুড্ডুর মা-বাবা দুজনেই চাকরি করে। কিন্তু গুড্ডুকে প্রথম দেখেই সৌদামিনীর কান্না পায়। কেন? যখনই সৌদামিনী কোনো খাবারের সামনে দাঁড়ায় তখনই ছায়া এসে হাত পাতে বহুজীবনের খিদে নিয়ে। কিসের ছায়া?
জানতে গেলে পড়তেই হবে গল্পের শেষ লাইন পর্যন্ত। টানটান গল্প ‘কুসুমপুরের সৌদামিনী’। লেখক বীরেন শাসমল। যার লেখা দুশোর বেশি ছোটোগল্পের কিছু এর আগে সংকলিত হয়েছে দশটি গল্পসংকলনে।
আর একটি গল্পের নাম ‘রামখেলা’। খেলা বলে খেলা। ছোটোদের পুজো পুজো খেলা ক্রমে বাবার খুঁট ধরে পর্যবসিত হয় রাজনৈতিক খেলায়, জাত পাত অস্পৃশ্যতার হাত ধরে সমাজের একটা অন্ধকার দিক ফুটে ওঠে গল্পের শেষে। এই গল্পগুলি সমেত লেখকের মোট ৪৩টি গল্প নিয়ে ‘এবং মুশায়েরা’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে বীরেন শাসমলের “গল্পসংগ্রহ” (প্রথম প্রকাশ অক্টোবর ২০২২)।
“মঞ্জরী ডুবে যায় কুয়াশায়, দূরে, আরও দূরে চলে যায় সে। আমি তাকে ধরতে পারি না। আলোয় আঁধারে ঘুরতে ঘুরতে স্রষ্টা আমি ডেকে উঠি — মঞ্জরী-ই-ই — মঞ্জরী দূরের কোন স্বপ্নলোক থেকে কথা বলে।” আহা! বড়ো বেদনার সঙ্গে লেখক শেষে বলেন, “অনন্ত নৈঃশব্দের মধ্যে কুঁড়িগুলি পুট-পুট করে ঝরে যেতে থাকে।” খুব মর্মস্পর্শী এই ‘সজনে ফুল’ গল্পটি। আসলে এ-তো ঠিক গল্প নয় যেন এক ফুলের জীবনকথা যে ফুল কুঁড়ি থেকে ফোটবার আগেই ঝরে যায়। এক শিশু ফুল বিক্রেতার বেদনা, গল্পে ধরা মানে শুধু তো কয়েকটি শব্দের মালা গাঁথা নয়, এও এক প্রতিবাদ। এও এক অসম জীবন যুদ্ধের গল্প।
‘বাবুই’ গল্পটি নবীন প্রজন্মের ঘর বাঁধার গল্প। যত না ঘর বাঁধার গল্প তার চেয়ে বেশি ঘর সাজানোর গল্প। কিন্তু ঘর সাজানোই শেষ কথা নয়। ঘরকে মজবুত হতে হবে, বাসযোগ্য হতে হবে তো। বাবুই পাখীদের বাসার সুন্দর বর্ণনা, “নারীরা বাসায় ঢুকে সরেজমিনে বাসা পরীক্ষা করছে। দক্ষতা, শিল্প, আর্কিটেকচারাল বিউটি, বসবার ঘর, ডিম রাখবার জায়গা, সুড়ঙ্গঘর, মানে সাপের হাত থেকে ছানাদের বাঁচাবার জন্য গোলকধাঁধা, সব কিছু ঠিকঠাক হলে তবে মেয়েপাখি সার্টিফিকেট দেবে। তবেই হবে সংসার, হোম সুইট হোম।” কী দারুণ না! এসব কবে বুঝবো আমরা ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া আত্মকেন্দ্রিক মানুষরা? এই গল্প পড়বার পর পাঠককে লেখক নিজের বাসার অন্দরে ভাববার জন্য বেশ কয়েক মুহূর্ত একলা দাঁড় করিয়ে দেন। যথার্থ আধুনিক লেখক কি এঁদেরই বলা হয়!
গল্পের নাম ‘সক্রেটিস’। নির্ভীক গল্পকার বীরেন শাসমল তাঁর সক্রেটিস গল্পে তুলে এনেছেন সমাজের এক অন্ধকার দিক। শিক্ষা ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এগোনোর পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে সেই দিককে কোনো আড়াল না করে তুলে ধরেছেন এই গল্পটিতে। সমাজ বদলে এই সমস্ত গল্প কতটা ভূমিকা পালন করবে তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে কথায় আছে কলম তলোয়ারের চেয়ে কিছু কম শক্তিমান নয়। এই গল্পের অমিতেশ চরিত্রটির একটি বৈপ্লবিক উক্তি তুলে দিলাম, “এক মহান দার্শনিক একটা অদ্ভুত কথা বলেছিলেন। আমাদের কারও কারও অবস্থা সেই পাগলটার মতো, যে খালি কৌটো বাজিয়ে ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবার ঢাকনা বন্ধ করবার আগে কৌটো বাজিয়ে সে জানান দিতে থাকে, আমি আছি। আমাদেরও অবস্থাটা ঠিক এ রকম। ফুটো পাত্র বাজিয়ে গলাবাজি করছি, স্তাবকেরা আমাদের অনুসরণ করছে। এরা জ্ঞানহীন, মাঝে মাঝেই কৌটো বাজায়। নিজেদের ছবি টাঙিয়ে মহাপুরুষ হয়ে যায়। কিন্তু এরা জানেনা, এ ভাবে বেশি দূর এগোন যায় না। তোমাদের জ্ঞান হোক সত্য। কৌটোর অস্ফালন নয়।” গল্পটির শেষ অসাধারণ। সমাজতাত্ত্বিকের জীবনদৃষ্টি নিয়ে লেখা এই গল্প আমাদের নিয়ে গিয়ে হাজির করে ৪০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ( আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের সময়ে) গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের সময়ে।
গল্পের নাম ‘বর্ণবিদ্বেষ’। গল্পে তুলে ধরা হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। কিন্তু এই ব্যবস্থা কিছুটা হলেও এখন পাল্টাচ্ছে বলেই আমার ধারণা। এখনকার জেনারেশন অনেক উদার, অনেক সাহসী। এই উদাহরণ এখন অন্য খাতে বইছে বলেই আমার ধারণা। তবু বলি, একজন হীনমন্যতায় ভোগা মেয়ের মানসিক অবস্থা অসাধরণ ভাবে এই গল্পে ফুটে উঠেছে। এবং তারসঙ্গে বলতেই হয়, শুধু এই গল্পে নয় অনেক ক’টি গল্পেই লেখক বীরেন শাসমল নারীদের সম্মানের সঙ্গে এঁকেছেন নিখুঁতভাবে, যা একটি 'পুরুষ কলমের' কাছে পাওয়া খুবই গর্বের।
বীরেন শাসমলের গল্পগ্রন্থের ৪৩টি গল্প থেকে মাত্র কয়েকটি গল্প উদাহরণস্বরূপ তুলে কিছু বলতে গেলে যে কথা বলতেই হয়, তা হল তাঁর উপস্থাপনা, ভাষার ওপর দখল ও প্রতিটা বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান যা পাঠককে মুগ্ধ করবেই। শহর কেন্দ্রিক ভাষা নয় বরং আঞ্চলিক ভাষা চর্চাকে অগ্রাধিকার দিয়ে যে গল্পগুলি লিখেছেন গল্পকার সেগুলিই পাঠকমনে বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে তা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ‘কবচ কুন্ডল’ গল্পটিতে একটি দীর্ঘ বাক্য আছে। সেটি উল্লেখ করছি,
“বিবর্ণ দেওয়াল, বিবর্ণ আসবাবপত্র, ডোবায় মজা তালপুকুর, ভাঙা রান্নাঘর, ভাজা ভাজা হয়ে যাওয়া জে কে মিত্রর অর্থনীতি বইয়ের মত স্পাইন খোলা তাঁর শরীরে, তাঁর ছেলে, উত্তরাধীকারী-রাতদুপুরে চোলাই খেয়ে বাড়ি ঢুকলে মনে হয় ঠিক এই কন্ডাকটরদের মত আর তিনি প্যান্টশার্ট খুলে এ্যাটাচিটি রেখে বাড়িতে ছেঁড়া লুঙ্গি পাজামা পরে নিলে মিনি বাসের খালাসি, আসল চেহারায় এই কন্ডাকটর তার ছেলে তিনি আর ড্রাইভার একইভাবে মিশেমিশে যাচ্ছিল, এই এতক্ষণ পরে তাঁর চারপাশ ঘিরে থাকা অদৃশ্য শক্তিবলয়টি ক্রমে ক্ষয়িত হতে যেতে লাগল,
হেডলাইটের আলোগুলো নিভে এলো, এতকাল ধরে রাখা সেই দুর্ভেদ্য বর্ম ফুটো হয়ে গেছে, তিনি হেঁট মুন্ডে সেই ফাটা বর্মটাকে গা থেকে খুলে রাখলেন, নিরস্ত্র অসহায় হয়ে সেই পড়ে থাকা কয়েনটা তুললেন, এবং চারিদিকে অজস্র চোখের সামনে ন্যাংটা হয়ে গেলেন, তাঁর শক্তি নেই তেজ নেই।”
এটি একটি মাত্র বাক্য (!)
‘চাতকীর দিনরাত’ গল্পটিতে স্বামী-স্ত্রী নয় বৌমা-শ্বশুড় সম্পর্ককে প্রতিস্থাপন করতে যে ঘটনা তুলে ধরেছেন লেখক তা মর্মস্পর্শী। মলির শ্বশুড়ের জন্য হাহাকার, “ওগো আমি কার জন্য ভাত রাঁধব। গো-ও-ও-ও। একলা জগতে দাঁড়িয়ে সে। মা বাপের না। সোয়ামির না। শুন্যি জগৎ শূন্যে দোলে। ফাঁকা। মুদলে আঁখি জগৎ ফাঁকি দশদিক হয় অন্ধকার। পথে বড়ো আঁধার গো। আমার বাপটা তবু ছিল গো। রাত ভিতে কে আমায় ডাকবে গো।” ‘অ-বউমা’ ডাকটি দারুণ আবহ সৃষ্টি করে গল্পের বুননে। পুরো গল্পটি এই ডাকটির ওপর বাঁধা।
বীরেন শাসমল।। ছবি ঋণ - ফেসবুক |
গল্পের বিষয় নির্বাচন লেখকের দর্শন, খোঁজ আর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দেয় তা আমরা জানি। আমরা এও জানি, ভাল গল্পকার উপস্থাপনা, অসাধারণ শুরু আর অজানা বিষয় নিয়ে গল্প লিখে পাঠক মন জয় করেন। কিন্তু বীরেন শাসমলের গল্পগুলি বার বার বিস্মিত করেছে। গল্পের চরিত্রদের অদ্ভুত অদ্ভুত পেশা এবং তাদের জীবন যুদ্ধে লড়াই করার অদম্য স্পৃহা বিস্ময় জাগায়।
‘সোনা ব্যাঙের ছা’ গল্পে ভানু চরিত্রটি পেটের জ্বালায় গ্রামের মাঠে জমিতে খালে বিলে জলায় ঘুরে ঘুরে ব্যাঙ ধরে তা আড়ৎদারকে সাপ্লাই দেয়। খাদ্য খাদকের সমানে সমানে লড়াই গল্পটিতে রোমাঞ্চ আনে।
“এগোচ্ছে সেই আদিম নিষাদ। সেই মানবপুত্র। প্রকৃতি ঢুঁড়ে ফেলছে খাবারের জন্য! অরণ্য বৃক্ষলতা ঘাসজমি মাটি। বাঁচবার জন্য সেই অমৃতফল তাকে বার করতেই হবে। জন্তু জানোয়ারেরা নিজেদের মধ্যে শিকার করে বাঁচছে। আমাকেও তো কিছু শিকার করতে হবে। অরণ্য মানি না। সমুদ্র মরুভূমি কিছুই মানিনা। আমাকে পার হতে হবে এই বন্ধ্যা ক্যাকটাসের খেত। ওই সামনে ফলভারে আনত বৃক্ষেরা। আমাকে যেতেই হবে ওপরে।”পরবর্তী পরিচ্ছেদে লেখক নিজস্ব বয়ানে যখন বলেন, “এভাবে সেই মানবপুত্রেরা হাঁটে। ক্ষিপ্র সতর্ক পায়ে এক যুগ থেকে আরেক যুগে প্রবেশ করে। তার সন্ততিরা ধনুকের ছিলা বাঁধতে শেখে। তীর শানায় পাথরে। পাথর থেকে বানায় হাতিয়ার। তাকেও তো যেতে হবে সেই যুদ্ধে।” তখন লেখকের কথকের ভূমিকা অসাধারণ নাটকীয়তা সৃষ্টি করে। গল্পের চরম দ্বন্দ্বে পৌঁছে গল্পকার নাটকের চিত্রনাট্য লেখার ভঙ্গীমায় পরের পরিচ্ছেদ শুরু করেন এই বাক্য দিয়ে “কড়াৎ করে বাজ নামল।” গল্পটি শেষ করতে গল্পকার ম্যাজিক রিয়েলিজমের জগতে প্রবেশ করেন। ভানুর ভাবনায় জলপরীরা প্রবেশ করে।
‘দেশ’ এমন এক পরিস্থিতির গল্প যে পরিস্থিতি এক একটি পরিবারকে, নিশ্চিহ্ন করে দেয়। নতুন জেনারেশন মোবাইল গেমে বুঁদ হয়ে আছে।
“রোহিত হঠাৎ বলে, আমাকে একটা কম্পিউটার গেম কিনে দেবে? অন্তত একটা চিপ সিডি? আমি একটু ধাক্কা খাই। আমার ছেলেকে আমি চিনি। তার হঠাৎ ক্লাস সেভেনে কম্পিউটার গেমের কী দরকার পড়ল কে জানে। কিছুটা বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব করে আমি বলি, ও দেখা যাবেখন। হঠাৎ এক ভয়ঙ্কর শব্দে চিৎকার করে ওঠে রোহিত — তোমাদের পয়সা নেই, একটা কম্পিউটার গেম কিনে দিতে পার না! বিনীতের আঙ্কেল বিনীতকে কিনে দিয়েছে। তোমাদের তো সারাক্ষণ নেই, নেই, নেই।”
মারণ গেম নতুন জেনারেশনকে পথ ভ্রষ্ট করছে, শুধু তাই নয়। এই উপস্থাপনার পিছনে লেখক
রাজনীতির যে খেলা পূর্ণ বয়স্কদের মধ্যে দেখিয়েছেন তা কিছুটা অতিরঞ্জিত বলে মনে হলেও অনেক মাত্রাতেই বাস্তব। এই গল্পটির শেষেও বেশ নাটকীয়
পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন লেখক। তবে শুধু এই গল্পটি নয় বীরেন শাসমলের প্রচুর গল্পই বেশ নাটকীয়।
এগুলি থেকে নাটক মঞ্চস্থ হতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে আরো অনেক গল্পই মঞ্চস্থ হবে বলে
আশা রাখি।
আবার মনে করিয়ে দিই ৪৩ টি দুর্দান্ত গল্পের
সংকলন এই গল্পসংগ্রহ। প্রতিটি নিয়ে আলোচনার জন্য এই পরিসর যথেষ্ঠ নয়। তবে যে
গল্পটি উল্লেখ না করলে এই আলোচনা সম্পূর্ণ হবে না তার নাম ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’।
গল্পের নায়ক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক অর্চিষ্মান চট্টোপাধ্যায়। এই বাগ্মী অধ্যাপক রাষ্ট্রের
লাইসেন্স প্রাপ্ত রাষ্ট্রধারক (‘গেস্টাপো’) দ্বারা
বন্দী! “যে রাতে
জঙ্গলমহলে যৌথবাহিনীর ক্যাম্পে হামলা হয় এবং আটজন জওয়ান শহিদ হন, ঠিক
সেদিন রাতেই রুমকি দেবীর আপনাকে ফোন করার দরকার পড়ল?” গল্প
এখানেই শুরু। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রুদ্ধ হতে দেখে একজন শিক্ষিত
নাগরিক যখন বলে, “বিক্ষুব্ধ
মানুষের হাতে বন্দুক তুলে নেওয়ার পিছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও বঞ্চনার ইতিহাস।” তখন
তো রাষ্ট্রের তরফে আসবেই চাপ। একজন অধ্যাপক যখন প্রথম শ্রেণীর দৈনিকে লেখেন, রাষ্ট্র
যে অস্ত্রে প্রজাপীড়ন করবে — ঐতিহাসিক
নিয়মে প্রজারাও সেই অস্ত্র ঘুরিয়ে ধরবে রাষ্ট্রের ধারকদের বিরুদ্ধে।” তখন
বিনা কারণেই সেই অধ্যাপক হয়ে যান রাজনৈতিক বন্দী। তাকে
রাখা হয় কন্ডেমড সেলে। তার বিচার চলে। জনমতের ভয়ে সরকার তাকে ছেড়ে দেওয়ার নামে
প্রহসন করে। স্বস্তির কথা নবজাগরণের দূতরা মরে না। অসাধারণ বললে কম বলা হয় এই
গল্পটিকে। মনে গেঁথে যায় এইসব গল্প।
বীরেন শাসমলের প্রতিটি গল্প এতই টানটান যে পাঠকের সাধ্য নেই একবার একটি গল্প পড়তে শুরু করার পর তার থেকে মুক্ত হওয়া। 🚫
1 মন্তব্যসমূহ
তোমার পাঠপ্রতিক্রিয়ায় গল্পগুলো পড়ার ইচ্ছে জাগল।
উত্তরমুছুন