আলোর পথযাত্রী
অদিতি ঘোষদস্তিদার
কানসাস, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ।। ১৯৯৯ সাল
ফোনটা রেখেই তিনজন লাফিয়ে উঠল। স্পিকার মোডে ছিল বলে শুনতে
পেয়েছে সবাই। যদিও নিজেদের
কানকে বিশ্বাস করাই দায় হয়েছিল। এবার একসঙ্গে তিনজন বলে উঠল, “উনি বেঁচে আছেন!”
ওয়ারস ঘেটো, পোল্যান্ড ।। ১৯৪২ সাল
গাঢ় অন্ধকার। নিঃশব্দ পায়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়াল একটি ছায়ামূর্তি। ছুঁতেই খুলে গেল দরজা। ঘরে ঢুকেই ছায়ামূর্তিটি কাপড়ের আড়াল থেকে বের করল সিরিঞ্জ। মোমবাতির সামনে শোয়ানো মাস ছয়েকের ঘুমন্ত শিশুটিকে দ্রুত ইনজেকশন দিয়ে চুপি গলায় বলল, “ঠিক ভোর চারটে!”
ওয়ারস ঘেটো।। মূল ছবি ঋণ - গেটি ইমেজ। মূল ছবি ডিজিটালি ট্রিট করা হয়েছে। |
ওয়ারস ঘেটো।। মূল ছবি - উইকিপিডিয়া থেকে। মূল ছবি ডিজিটালি ট্রিট করা হয়েছে। |
নরম্যান কোনার্ড ইউনিয়ন টাউন হাইস্কুলের
ইতিহাসের শিক্ষক। ছোট্ট এই হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সাকুল্যে দেড়শও নয়।
বেশির ভাগই আসে নিম্ন মধ্যবিত্ত ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ পরিবার থেকে। কিন্তু শিক্ষকের চোখে অসীম স্বপ্ন।
মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল স্কুল ডে, অত্যন্ত
সম্মানিত একটি সংস্থা, প্রতিবছর বর্ষব্যাপী ইতিহাস নিয়ে
রিসার্চের প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা রাখে। গোটা আমেরিকা আর কানাডার ষষ্ঠ থেকে
দ্বাদশ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করে এতে। গোটা বছরটা জুড়ে ইতিহাসের নানান
চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে গবেষণা করে ছাত্রছাত্রীরা। নতুন নতুন ধারণা প্রতিফলিত করতে
পারে সাহিত্যে, সিনেমায়, নাটকে। কোনার্ড নিজের স্বপ্ন সঞ্চারিত করতে চান
ছেলেমেয়েদের মধ্যে।
হঠাৎ করেই কোনার্ডের হাতে একদিন এসে গেছিল
খবরের কাগজের একটা কার্টিং, বেশ পুরোনো। ১৯৯৪ সালের। ছোট্ট একটা খবর,
কিন্তু হেডিংটাতেই চোখ আটকেছিল।
“আদার সিন্ডলার্স!”
সিন্ডলারের নাম কেই বা না জানে এখন
স্পিলবার্গের ছবির জন্যে। সেই যে
জার্মান দম্পতি অস্কার আর এমিলি সিন্ডলার যাঁরা হলোকাস্টের
নরকযন্ত্রণা আর সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন প্রায় ১১০০ ইহুদিকে। কিন্তু
আর কে?
আরে! এতো অবিশ্বাস্য! ইরিন সেন্ডলার!
পোল্যান্ডের এক নার্স! বাঁচিয়েছেন প্রায় ২৫০০ শিশুকে!
লাফিয়ে উঠলেন কোনার্ড। কে ইনি? এই
শহরের হলোকাস্ট সারভাইভার অনেকে আছেন, তাঁদের মধ্যে কি কেউ?
ডেকে পাঠালেন তিন প্রিয় ছাত্রীকে। এলিজাবেথ, মেগান আর সাবরিনা। বড় অভাব তাদের পরিবারে। কিন্তু এদের ইচ্ছে আকাশ ছোঁয়ার!
“দারুন খবর এটা! দেখো যদি পত্রিকার সম্পাদকের
সঙ্গে কথা বলে জানতে পারো কিছু!”
তৎপর তিন ছাত্রী! ছোট টুকরো কাগজ একটা দিয়েছেন
শিক্ষক। অনেক অনুসন্ধান করে খবরের কাগজের নাম আর সম্পাদকীয় দপ্তরের ফোন নম্বর জানা
গেছে।
ওরা জানতে চেয়েছিল ইরিন সিন্ডলারের সমাধির কথা, কোথায় সেটা
যদি জানা যায়। তাহলে তারা একটু শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসতে পারে পুষ্পস্তবক দিয়ে।
তাতে সম্পাদক উত্তর দিলেন, “অনেক
ধন্যবাদ আপনাদের ওনার কথা জানতে চাওয়ায়। তবে আমি যতটুকু জানি উনি বেঁচে আছেন, পোল্যান্ডে
থাকেন!”
বেঁচে আছেন!
খবর পেয়েই তিনকন্যা আনন্দে অস্থির
আরো আরো খবর জোগাড় করতে হবে এই মহীয়সী মহিলা
সম্পর্কে।
সংবাদপত্রে খবর।। ছবি - আন্তর্জাল। |
জিগোটা গুপ্ত সমিতির অফিস, পোল্যান্ড ।। ১৯৪০ সাল
ছোট টেবিলে বসে দুজন। একজন সদ্য দায়িত্ব
পেয়েছেন জিগোটার শিশু বিভাগের প্রধান পদের। তিনিই সোচ্চার।
“আমি যেমন করে পারি ওখানের বাচ্চাদের বাইরে
পাচার করবই। আমি জানি ওয়ারস ঘেটোর পাশেই একটা পুরোনো কোর্টহাউস আছে, ওটাই ব্যবহার করার চেষ্টা করব। তুমি শুধু ভেতরে ঢোকার একটা ব্যবস্থা করে
দাও।”
“সেটা খুব একটা অসুবিধে হবে না। ঘেটোর মধ্যে
অসম্ভব অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। টাইফয়েড মহামারীর আকার নিয়েছে প্রায়। তুমি তো নার্স।
সেবা শুশ্রূষার কাজে তোমাকে ঢুকিয়ে দেব। কিন্তু তারপর তোমাকে সব সামলাতে হবে।
অসম্ভব ঝুঁকি নিচ্ছ কিন্তু। ধরা পড়লেই মৃত্যু!”
“মৃত্যুর লীলা চলছে সারা পোল্যান্ড জুড়ে,
আমি মরলে সংখ্যা আর একটা বাড়বে বই তো নয়। দেখি যদি একটাও প্রাণ
রক্ষা করতে পারি! আমার বাবা কী বলতেন জানো, “If you see someone drowning
you must rescue them, even if you cannot swim.”
তরুণী ইরিন।। ছবি - আন্তর্জাল। |
কানসাস ।। ১৯৯৯ -২০০০ সাল
অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে তিন কন্যা আর তাদের
প্রিয় শিক্ষক। এখন দলে জুটেছে আর একটি মেয়ে জেসিকা। যেটুকু খবর পাওয়া গেছে তা যে
কোন অ্যাডভেঞ্চারকে হার মানায়।
রোমাঞ্চকর সে কাহিনী। অবিশ্বাস্য!
১৯৩৯ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে
উঠেছে। পোল্যান্ডের ওয়ারশ-এ হয়েছে জার্মান ঘেটো। ইরিন তখন জেগোটার মেম্বার। জিগোটা
একটি গুপ্ত সংস্থা, যা ইহুদিদের গোপনে সাহায্য করার জন্যে
প্রতিষ্ঠিত। ইরিন নিজে ইহুদি না হলেও ইহুদিদের প্রতি হিটলার আর তার অনুচরদের নির্মম জঘন্য ব্যবহার
তাঁকে বিচলিত করেছিল। তিনি চেষ্টা করছিলেন ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে ইহুদিদের দেশের
বাইরে বের করে দিতে। প্রথম দিকে সফল হলেও পরে ১৯৪০ সালে যখন হিটলারের গেস্টাপো
পুলিশ বাহিনী প্রায় চার লক্ষ ইহুদিকে ওয়ারশ ঘেটোয় পুরে ফেলল, কাজটা তখন প্রায় অসম্ভব
হয়ে উঠল। ইরিন তখন
জিগোটার শিশু বিভাগের প্রধান।
ওয়ারস ঘেটো।। মূল ছবি ঋণ - আন্তর্জাল। মূল ছবি ডিজিটালি ট্রিট করা হয়েছে। |
চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিল ঘেটোর মধ্যে।
তাই টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারির মত। স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবার কাজ নিয়ে ইরিন
ঢুকলেন ঘেটোয়। তারপর শুরু হল একের পর এক শিশু পাচার। কিন্তু প্রতিটি শিশুর নাম ধাম
পরিচয় রেখে দিতেন এক একটি ছোট ছোট জারে । তারপর পুঁতে রাখতেন মাটিতে। মনে বিশ্বাস
এ মরণ যুদ্ধ একদিন থামবেই, পরাজিত হবে দানবীয় শক্তির, আর তখন এই জারের পরিচয়পত্রই হবে বাবা মা আর সন্তানের যোগসূত্র!
প্রায় ২৫০০ বাচ্ছা পাচার করার পর ধরা পড়ে যান
ইরিন।
কিন্তু অদ্ভুতভাবে বেঁচেও যান।
ইউনিয়ন টাউন হাইস্কুলের ছাত্রীরা এবার
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। ন্যাশনাল স্কুল ডের জন্যে লেখা হবে নাটক, নাম হবে,
“লাইফ ইন আ জার!”
২০০০ সালে এই নাটক অভিনীত হল আমেরিকা আর
কানাডার বিভিন্ন শহরে । খবর পাওয়া গেছে ইরিন বেঁচে আছেন বটে, কিন্তু দিন
কাটছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে! কেউই এই বীরাঙ্গনার কাহিনি তেমন জানে না । প্রচারের
আলো কোনদিনই তিনি পাননি।
নাটকের টিকিট বিক্রির টাকা পাঠানো হতে লাগল
ইরিনকে। ইরিনের খবর ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত “লাইফ ইন আ জারের” মাধ্যমে!
কানসাস ।। ২০০১ সাল
টাকা পয়সা যোগাড় হয়েছে বেশ কিছু। এবার যেতে হবে
পোল্যান্ড। দেখা করতে হবেই সেই মহীয়সীর সঙ্গে। নাটকের শো এর বাবদ কিছু টাকা তো
ছিলই, তাছাড়া এগিয়ে এলেন কানসাসের ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফিরে আসা কিছু মানুষ আর তাঁদের পরিবারও।
সব
ব্যবস্থা হয়ে গেল। চার কন্যা পাড়ি দিল পোল্যান্ডে।
পোল্যান্ড ।। ২০০১ সাল
এলিজাবেথ, মেগান আর সাবরিনা আর জেসিকা
বসে আছে ইরিন সেন্ডলারের পাশে। ইরিনের বয়েস এখন একানব্বই। কিন্তু স্মৃতি এখন
তরতাজা!
আমার সবসময় মনে হত এই ধ্বংসলীলা একদিন থামবে,
থাকবেই। তখন পৃথিবী আবার হাসবে। মুক্ত হাওয়ায় মা বাবা আবার মিলিত
হবে হারিয়ে যাওয়া সন্তানের সঙ্গে।
সেই আশায় প্রত্যেকটি বাচ্চার নাম আর সংক্ষিত
পরিচয় লিখে রাখতাম সিগারেট বানানোর পাতলা কাগজে বা টিসু পেপারে। দুটো করে কপি
করতাম। যাতে না হারিয়ে যায়! কিন্তু একটি টুকরো গেস্টাপোর হাতে পড়লে সব শেষ! তাই ছোট ছোট কাচের জারে কাগজগুলো
পুরে আমার সহকর্মীদের বাড়ির গাছের তলায় মাটির ভেতরে পুঁতে দিতাম।
এইভাবে বছর তিনেক কাটল। প্রায় ২৫০০ শিশুর প্রাণ
রক্ষা পেল।
কত রকম ভাবে যে পাচার করেছি বাচ্চাদের। খুব
অসুস্থ, ছোঁয়াচে রোগ হয়েছে বলে একটু বড় বাচ্চাদের স্ট্রেচারে করে শুইয়ে এনে অ্যাম্বুলেন্স
তুলে দিয়েছি। ঘেটোর পাশে যে কোর্টহাউস ছিল সেখান দিয়ে পার করিয়েছি অনেক বাচ্চাদের।
কখনো বা বাথরুমের পাইপ দিয়ে। ঘেটোয় খাবার বা নোংরা ফেলার ট্রলিতে কখনো বা আলুর বস্তায় পুরে
বা কখনো কার্ডবোর্ডের বাক্সয়। যখন যা পেয়েছি।
একটা ঘটনা খুব মনে আছে. এলজবিয়েটা বলে একটা ছমাসের শিশু। ওকে ঘুমের ওষুধ ইঞ্জেকশন করে খুব ভোরবেলা কাকপক্ষী জাগার আগে পাচার করি. ওর বাবা মা আমাকে একটা চামচ দিয়েছিল, বাচ্চাটার সঙ্গে দেবার জন্যে। একদিকে লেখা বাচ্চাটার নাম, আর একদিকে জন্ম তারিখ।চোখের জলে শেষ বিদায় দিয়েছিল কোলের শিশুকে। কিন্তু ও আর কোনদিন ফিরে পায়নি বাবা মাকে । ট্রেবলিঙ্কা ডেথ ক্যাম্পে মারা যায় দুজনেই পরে।
এলজবিয়েটা, ২০০৫ সালে।। ছবি - আন্তর্জাল। |
এমনি করতে করতে ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে ধরে
ফেলল পুলিশ।
ব্যাস! শুরু হল অকথ্য অত্যাচার। পায়ের পাতা
দুটো গুঁড়িয়ে দিল, তারপর শুরু হল হাঁটু আর উরুতে হাতুড়ির বাড়ি। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে আমায়
বধ্যভূমিতে। শরীরের যন্ত্রণা তুচ্ছ তাও, মুচড়ে যাচ্ছে বুকের
ভেতর। একটু যদি সাবধান হতাম আরো কত শিশু বাঁচত!
অপেক্ষা করছি মৃত্যুর! এবারও ঘটল সিনেমার মত ঘটনা! জিগোটা বাঁচাল আমার এ তুচ্ছ প্রাণ। শুনেছি বস্তা ভরা ডলারের বদলে নাকি গেস্টাপোদের কাছ থেকে আমার আধমরা শরীরটা তুলে এনেছিলেন ওরা। আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলাম, কিন্তু পা দুটো আর তেমন ঠিক হল না। ক্রাচ নিয়ে চলি আজও!”
বৃদ্ধা ইরিন ।। ছবি - আন্তর্জাল। |
২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত প্রতি বছর এই মেয়েরা
পোল্যান্ডে গেছে। নাটকের শো থেকে তোলা টাকা দিয়ে এসেছে ইরিনা কে। ২০০৩ সালে নোবেল
শান্তি পুরস্কারের জন্যে ইরিনা
নমিনেটেড হন, কিন্তু নোবেলের শর্ত ছিল যে শান্তির জন্য যে কাজ করা হবে তা দুবছরের
বেশি পুরনো হলে চলবে না। কিন্তু ইরিনার কাজ যে অনেক পুরোনো! তাই নোবেল মিলল না!
তবে “লাইফ ইন আ জার” সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিল ইরিনার নাম! ২০০৩ সালে জ্যান কারস্কি পুরস্কার
পান ইরিন। ওয়াসিংটন ডি সি তে এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়! পোল্যন্ডেও
তিনি সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী হন তখনই। মৃত্যুর আগে বহু সম্মানে সম্মানিত হন।
একটাই
দুঃখ ছিল আইরিনের যে খুব কম শিশুই বাবা মাকে খুঁজে পেয়েছিল। ট্রেবলিঙ্কা ডেথ
ক্যাম্পে মারা গেছিলেন প্রায় সবাই। তবে শিশুরা সবাই প্রায় নিরাপদেই ছিল।
সেই
ছোট্ট এলজবিয়েটার সঙ্গেও দেখা করেছিল চার কন্যা । সেই চামচটা এখনো তার কাছে আছে।
সেটা ছুঁয়েই সে স্পর্শ পায় তার
হারিয়ে যাওয়া বাবা মায়ের । জীবনদাত্রী ইরিনকে শ্রদ্ধা করে দেবীর মত।
কানসাসে ছাত্রী আর শিক্ষিকার সঙ্গে ইরিন ।। ছবি - আন্তর্জাল। |
অদিতি ঘোষদস্তিদার |
অদিতি ঘোষদস্তিদার। পেশায় গণিতের অধ্যাপিকা। নেশা লেখালেখি। বাস আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে। আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, বাংলা লাইভ, অপার বাংলা, বাতায়ন, শব্দের মিছিল, ও কলকাতা, ড্যাশ পত্রিকা সহ
সারা পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন।
আমেরিকা থেকে প্রকাশিত অভিব্যক্তি নিউ জার্সি পত্রিকার সম্পাদিকা। আমেরিকার
মিচিগান থেকে প্রকাশিত উদ্ভাস পত্রিকার এবং কলকাতার কাফে টেবিলের অবসর পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীতে আছেন।
প্রিয় বিষয় ছোট গল্প, অণুগল্প।
নিচের তালিকার নির্দিষ্ট লেখায় (উৎসব সংখ্যার)
7 মন্তব্যসমূহ
Ruddhoshashe porlam... Holocaust niye jotoi pori..totoi jno sei nidarun jontronar din gulo olpo holeo chhunte pari..erokom aro naam na jana tara der kahinir opekkhay roilam...kolomer kandari k kurnish....
উত্তরমুছুনকি অপূর্ব!!এক সময়ে এমন মানুষ ছিলেন। যারা শত কষ্ট সহ্য করেও জীবনকে ভালো কাজের জন্য বাজি রেখেছিলেন।
উত্তরমুছুনছেঁড়া কিছু কথার অপূর্ব গ্রন্হন
উত্তরমুছুনএই মহীয়সী র সম্মন্ধে পড়েছিলাম আগে, কিন্তু এই লেখাটা ভারী সুন্দর হয়েছে, "লাইফ ইন এ জার" এর প্রচেষ্টা জন ছিল না। এত মহৎপ্রাণ এর জন্য একদিকে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়, অন্যদিকে মানুষের ওপর ভরসা ফিরে আসে।
উত্তরমুছুনঅসামান্য ফিচার। মুগ্ধ হলাম। জানলাম এমন এক মহান মানুষের জীবনের কথা যা না জানলে অপূর্ণতা থেকে যেত। সংগ্রহে রাখব এই লেখা, আরো অনেককে পড়াব।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ, মন ছুঁয়ে যাওয়া এক 'কাহিনী'
উত্তরমুছুনমানুষই বোধহয় সদম্ভে বলতে পারে আমি মৃত্যু চেয়ে বড়ো।
লেখিকার কলমকে কুর্নিশ জানাই।
সাবলীল উপস্থাপনা। ভীষন ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন